রজঃনিবৃত্তি বা মেনোপোস মহিলাদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মহিলারা শরীরের স্বাভাবিক এই পরিণতিকে মেনে নিতে পারেন না।
মেনোপোস বা রজঃনিবৃত্তি কখন বলব?
প্রেগন্যান্সি বা অন্য কোন রোগ না থাকা সত্ত্বেও কারো যদি বারো মাস পিরিয়ড বন্ধ থাকে।
মেনোপোস এমন একটা সময় সাধারণত ঘটে, যখন নারীর ওভারি তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। মহিলাদের ওভারি থেকেই তৈরি হয় ডিম্বানু এবং মেয়েলি হরমোন, যা নারীর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য ধরে রাখে।
কোন বয়সে রজঃনিবৃত্তি হয়
মহিলাদের মেনোপোসের গড় বয়স ৫১ বছর। একেকজনের মেনোপোসের বয়স একেকরকম। কাজেই কার কখন মেনোপোস হবে তা আগে থেকেই বুঝা যায় না।
অনেকেই মনে করেন যাদের যত তাড়াতাড়ি পিরিয়ড শুরু হয় তাদের তত তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়। কিন্তু এটা সঠিক নয়।
অধিকাংশ মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪৫-৫৫ বছরের মধ্যে মেনোপোস হয়ে থাকে। কিন্তু এমনও দেখা গেছে ৩০-৪০ বছরের মধ্যেও কারো কারো মেনোপোস হয়ে থাকে। কারোও আবার ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিক পিরিয়ড চলতে পারে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নারীরা তাদের মা যে বয়সে মেনোপোসে গেছে তারাও সেই বয়সের কাছাকাছি সময় মেনোপোসে যায়। মেনোপোস বা শেষ পিরিয়ড হবার আগে থেকেই মহিলাদের অনিয়মিত পিরিয়ড ও কিছু কিছু উপসর্গ দেখা যায়।
মেনোপোসের লক্ষণ
মেনোপোসের লক্ষণ একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম। কারো কারো ক্ষেত্রে লক্ষণগুলো মারাত্মক আকার ধারণ করে। আবার কারো ক্ষেত্রে খুব কম বা একেবারেই লক্ষণ দেখা যায় না।
১. যোনিপথে অনিয়মিতভাবে রক্তপাত।
২. মুখ-চোখ লাল হয়ে যাওয়া, অস্বস্তি লাগা, রাতে ঘামা।
৩. যোনিপথ চুলকানো।
৪. শারীরিক সম্পর্কের সময় ব্যথা পাওয়া।
৫. প্রস্রাবের ইনফেকশন।
এছাড়া মানসিক কিছু উপসর্গ দেখা যায়। যেমন: অবসাদ, মনে রাখতে না পারা, খিটখিটে মেজাজ,ঘন ঘন মুড পরিবর্তিত হওয়া ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫