ঢাকা: চকলেট খেতে ছোট-বড় সবাই খুব ভালোবাসে। আর ডার্ক চকলেট হলে তো কথাই নেই! ডার্ক চকলেটের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি।
মেডিকেল গবেষণা অনুযায়ী, যারা প্রতিদিন ডার্ক চকলেট খান, তারা যেকোনো প্রশ্নের চটজলদি উত্তর দিতে পারেন। তাদের মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করে বলে তারা যেকোনো সমস্যার সমাধানও দিতে পারেন দ্রুত।
ক্যাফেইন সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট ভালো উদ্দীপকও বটে। তবে এটি কফির চাইতে কম ক্যাফেইন বহন করে। ৪২ গ্রাম ডার্ক চকলেটে রয়েছে প্রায় ২৭ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন। যেখানে এক কাপ কফিতে রয়েছে ২শ’ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন।
ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস
ডার্ক চকলেটে রয়েছে পটাশিয়াম, কপার, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়রন। কপার ও পটাশিয়াম স্ট্রোকসহ অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। অন্যদিকে, আয়রন অ্যানিমিয়ার প্রতিষেধক এবং ম্যাগনেশিয়াম ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
ফুরফুরে মেজাজ ও উন্নত দৃষ্টিভঙ্গি
ডার্ক চকলেট খেলে মন ভালো থাকে। বিশ্বাস হলো না তো! কারণ, ডার্ক চকলেটে রয়েছে ফিনাইলইথাইল্যামিন (পিইএ) নামে এক ধরনের উপাদান। ঠিক একই রাসায়নিক উপাদান যখন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয় তখন মানুষ প্রেমে পড়ে। পিইএ উপাদানটিই মস্তিষ্কে এনডোরফিন হরমোন নিঃসৃত হতে সাহায্য করে। আর এনডোরফিন অনুভূতি ও আনন্দকে উদ্দীপ্ত করে। ফলে ব্যক্তির সুখানুভূতি হয়।
এছাড়াও চকলেটে রয়েছে অ্যান্টি-ডিপ্রেজেন্ট সেরেটোনিন যা হতাশা কমায়। যারা প্রতিদিন ডার্ক চকলেট খান তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, যারা ডার্ক চকলেট খান না তাদের তুলনায় অনেক ইতিবাচক বলেও জানিয়েছেন গবেষকরা।
কোলেস্টেরল ও সক্রিয় হৃদপিণ্ড
ডার্ক চকলেট হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্কের ক্রিয়াকে সচল রাখতেও সাহায্য করে। এটি রক্তনালীকে সজীব ও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। কোলেস্টেরল কমাতেও ডার্ক চকলেটের জুড়ি নেই।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন ডার্ক চকলেট খেলে উচ্চরক্তচাপ কমে ও ধমনীতে সঠিক মাত্রায় রক্ত প্রবাহিত হয়। ডার্ক চকলেট রক্তে জমা চর্বি দূর করে ও সুন্দর শরীর গঠনে সহায়তা করে।
মজবুত দাঁত ও মাড়ি
অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে, ডার্ক চকলেট দাঁতের ক্ষতি করে। তবে আশ্চর্য হলেও সত্যি, এটি ব্যাকটেরিয়া দূর করে দাঁতকে ভালো রাখে ও মাড়ি মজবুত করে। এতে রয়েছে থিয়োব্রোমাইন যা দাঁতের এনামেলকে অক্ষত রাখে।
সুস্থ ত্বক
ডার্ক চকলেট খেলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে। এতে রয়েছে উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা রেডিক্যালসের সঙ্গে যুদ্ধ করে ত্বককে অক্সিডেটিভ ক্ষয় থেকে বাঁচায়। রেডিক্যালস ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। কোকো গ্রিন টি’র চাইতেও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয়, ফলে এটি ময়েশ্চার ধরে রাখে ও ত্বককে কোমল রাখে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৫