ঢাকা: ক্যান্সার নিরোধ ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট (মূসক) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সম্মেলন কক্ষে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যাল লি. পরিচালক ডা. এম এ মালেক চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশিয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ক্যান্সার নিরোধ ওষুধ উৎপাদন করছে। ফলে আমদানি নির্ভরতা কমে গেছে। দেশিয় কোম্পানি আমদানির চেয়ে অনেক কম মূল্যে ঔষধ দিচ্ছে। তবে ক্যান্সারের ওষুধ আমদানি সম্পূর্ণ শুল্ক ও ভ্যাট মুক্ত।
কিন্তু দেশিয় কোম্পানি কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ও ভ্যাট দিতে হচ্ছে। ফলে বিদেশি কোম্পানির সাথে দেশিয় কোম্পানি প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। কাঁচামালে ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে ক্যান্সারের ওষুধের দাম কমবে এবং আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
নমুনা (স্যাম্পল) ঔষধে ভ্যাট অব্যাহতির দাবি করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানি বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। সেক্ষেত্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে নমুনা জরুরি।
বর্তমানে বছরে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ওষুধ নমুনা হিসেবে রপ্তানিতে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতে নমুনা প্রেরণে সমস্যা হয়।
দেশিয় ওষুধের পরিচিতি বাড়ানো ও রপ্তানি বৃদ্ধির স্বার্থে প্রতিটি রপ্তানি আদেশের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ পর্যন্ত নমুনা সরবরাহের ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতির দাবি জানান তিনি।
ওষুধ সংরক্ষেণের র্যাক আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করে তিনি বলেন, কারখানায় ওষুধ সংরক্ষণের যে র্যাক ব্যবহৃত হয় তা আমদানি করতে হয়। র্যাক আমদানিতে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। অথচ ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত ফার্মেসি এ র্যাক আমদানি করলে ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
মালেক চৌধুরী বলেন, ওষুধ শিল্প সবচে বেশি শুল্ক দেয়। গত কয়েক বছর সরকারি নীতি দূর্বলতায় দেশে তৈরি হওয়া ওষুধও আমদানি হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সম্ভাবনাময় ঔষধ শিল্প। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রণোদনা পাওয়ার পর দেশে এখন ভ্যাক্সিন, ইনসুলিন তৈরি হচ্ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, ঔষধ শিল্পকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে শুল্ক জটিলতা দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৫