ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের মানুষের এন্ডোক্রাইনলজি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে একযোগে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছে এ অঞ্চলের পাঁচ দেশ।
এসএএফইএস’র দ্বিতীয় সামিটে শনিবার (২৫ এপ্রিল) ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার প্রতিনিধিরা একসঙ্গে বসে আলোচনা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও পারস্পারিক জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে ঐক্যমত পোষণ করে।
সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব এন্ডোক্রাইন সোসাইটির (এসএএফইএস) উদ্যোগে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বিতীয় সামিট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দ্বিতীয় দিন ঢাকা ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই মত প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছেন এসএএফইএস’র প্রেসিডেন্ট ফারুক পাঠান।
বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি, ভারতীয় এন্ডোক্রাইন সোসাইটি, নেপালের ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রাইন অ্যাসোসিয়েশন, পাকিস্তান এন্ডোক্রাইন সোসাইটি এবং শ্রীলঙ্কার এন্ডোক্রাইন সোসাইটি নিয়ে এসএএফইএস গঠিত।
ঢাকা ঘোষণার পর এক সংবাদ সম্মেলনে ফারুক পাঠান বলেন, সামিটে গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস মেলিটাস (জিডিএম) নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
জিডিএম গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্য সমস্যা ঘটায় এবং মা ও গর্ভস্থ বাচ্চার ক্ষতি করে। এই অবস্থায় বাচ্চা জন্ম নিলে ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে।
সামিটে এ সংক্রান্ত জ্ঞান ও কাজের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের তথ্য তুলে ধরে ফারুক পাঠান বলেন, রোগীদের আরও ভাল যত্ন নিতে পারলে রোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনা যাবে বলে মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভারতীয় এন্ডোক্রাইন সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নিখিল ট্যানডন ছাড়াও সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
শুধু ডায়াবেটিকস নয়, অন্যান্য রোগীর বিষয়েও কাজ করার বিষয়ে সামিটে একমত হয়েছে সদস্য রাষ্ট্রসমূহ।
শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে ২০১৩ সালে প্রাথমিক উদ্দেশ্য নিয়ে এসএএফইএস শুরু হয়। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে প্রতি দুই বছরে একবার এ সামিট অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ২০১৩ সালে ভারতের হায়দারাবাদে প্রথম সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৫
এমআইএইচ/এটি/