ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

তামাকে বছরে মৃত্যু লাখো মানুষের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৫
তামাকে বছরে মৃত্যু লাখো মানুষের ছবি: শাকিল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: তামাকজাত পণ্যের ব্যবহারে প্রতিবছর দেশে প্রায় ৭৬ হাজার থেকে একলাখ মানুষের অকালমৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবুল বারকাত।

একই সঙ্গে তামাকের পরিমাপযোগ্য নিট সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি অর্থবছরে ১৬ হাজার ছয়শ ৩২ কোটি টাকা বলে জানানো হয়।


 
বৃহস্পতিবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
 
আবুল বারকাত বলেন, তামাকজাত পণ্যের ভোগ কমানোর কার্যকরী উপায় হলো তামাকের ওপর উচ্চহারে কর আরোপের মাধ্যমে এর মূল্য বাড়ানো। তামাকজাত পণ্যের ওপর উচ্চ করহার ও সুষ্ঠু কর ব্যবস্থাপনা তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে আনে। পাশাপাশি তামাক থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা নিরসনে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিপুল খরচও কমিয়ে ‍আনতে পারে।
 
একই সঙ্গে তামাকজাত পণ্যের করহার বাড়ানোর মাধ্যমে সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।
 
তিনি জানান, বাংলাদেশে তামাক-কর সংক্রান্ত কোনো নীতিমালা এখনও প্রণীত হয়নি। এছাড়া সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের ওপর উল্লেখযোগ্য হারে করারোপও করা হয়নি। এর ফলে তামাকজাত পণ্য সস্তা ও মানুষের কাছে সহজলভ্য। বাংলাদেশে তামাকজাত পণ্যের প্রকৃতমূল্য বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় অনেক কম।
 
হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের (এইচডিআরসি) প্রধান উপদেষ্টা আবুল বারকাত আরও বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অন্য পণ্যের তুলনায় সিগারেটের ‘প্রকৃত মূল্য’ কমছে। এছাড়া মানুষের গড় আয় বাড়ার ফলে তামাকজাত পণ্য বেশি পরিমাণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় চলে আসছে।
 
২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত পণ্যের ওপর প্রস্তাবিত কর বিষয়ে প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে বাজেটে তামাকজাত পণ্যের ওপর উচ্চহারে কর আরোপের জন্য কয়েকটি সুপারিশ ও পরামর্শ তুলে ধরেন তিনি।
 
সুপারিশের মধ্যে রয়েছে, কর নির্ধারণের জন্য সিগারেটের মূল্যস্তর পদ্ধতি বাতিল করে তুলনামূলক উচ্চহারে নির্দিষ্ট পরিমাণ এক্সাইজ ট্যাক্স আরোপ করা, বিড়ির ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত স্বল্পমাত্রায় নির্ধারিত ‘ট্যারিফ ভ্যালু’র ওপর কর ধার্য প্রথা বাতিল করে নির্দিষ্ট পরিমাণ এক্সাইজ ট্যাক্স আরোপ, ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত পণ্যের ওপর বর্তমান ‘অ্যাড ভ্যালোরেম’ কর ব্যবস্থার পরিবর্তে নির্দিষ্ট পরিমাণ এক্সাইজ ট্যাক্স আরোপ ও তামাকজাত পণ্যের বিক্রয় মূল্যের ওপর বর্তমানে আরোপিত এক শতাংশ হেলথ সারচার্জ বাড়িয়ে দুই শতাংশে উন্নীত করা।

‘কেমন তামাক চাই: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের (এইচডিআরসি), প্রজ্ঞা, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) ও ক্যাম্পেইন ফর ফ্রি কিডস (সিটিএফকে)।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৫
টিএইচ/এসএ/এসএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।