মৃত্যু প্রাকৃতিক। মৃত্যু অনিবার্য।
এই তথ্য উন্নত বিশ্বের একটি দেশের। যেখানে স্বাস্থ্য সচেতনতা অনেক বেশি। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের হিসাব ২০১৩ সালে ৫ লাখ ৬ হাজার ৭৯০ জনের মৃত্যু হয় যার ২৩ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪০ জনের মৃত্যুই হয় পরিহার্য কারণে।
পরিসংখ্যান আরও বলছে, এই ক্ষেত্রে নারীদের তুলনায় পুরুষরাই বেশি ঝুঁকিতে। ২০০১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত পরিহারযোগ্য মৃত্যুর মধ্যে ৬০ শতাংশ ছিলো পুরুষ। আর মোট পরিহার্য মৃত্যুর মধ্যে ২৮ শতাংশ পুরুষ ও ১৭ শতাংশ নারী।
‘পরিহারযোগ্য মৃত্যু’ কথাটি দিয়ে সেটাই বোঝানো হয়েছে, যেসব রোগের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে, ভ্যাকসিনেশন রয়েছে। জীবন-যাপন প্রক্রিয়া বদলালেই যেসব রোগ দেখা দেয় না, কিংবা দিলেও ভাল হয়ে যায়। এছাড়াও স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়লেই যেসব রোগ থেকে ভালো করে তোলা সম্ভব সেগুলোও রয়েছে এই মানদণ্ডে।
যেমন ধরুন ধূমপান ছেড়ে দেওয়া, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যগ্রহণ আর নিয়মিত শরীর চর্চা, মানুষের স্বাস্থ্যগত সমস্য সমাধানে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
হৃদরোগ ২০১৩ সালে মোট মৃত্যুর ১৭ শতাংশের কারণ। কিন্তু যখন নারী ও পুরুষের বিষয়টি আলাদা করে দেখা হলো নারীদের মৃত্যুর জন্য ফুসফুসের ক্যান্সারকে বড় কারণ হিসেবে দেখা গেলো। যা নিঃসন্দেহে পরিহারযোগ্য একটি রোগ।
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র কার্ডিয়াক নার্স ডরিন ম্যডকের মতে, হাজার হাজার মানুষ অকারণে নিজেদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এদের হৃদরোগে মৃত্যু ঘটার কোনই কারণ ছিলো না।
তিনি বলেন, হৃদরোগে মৃত্যু রোধে চিকিৎসা ব্যবস্থা বছরের পর বছর উন্নত হচ্ছে সে কথা ঠিক, কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও দিন দিন বাড়ছে বহুগুনে।
তিনি বলেন, স্রেফ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেয়ে, শরীরটাকে চাঙা রেখে, ধূমপান ছেড়ে দিয়ে আর শরীরের রক্তচাপ আর কলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের হার কমানো সম্ভব।
জনস্বাস্থ্য সচেতনতাই এখানো গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিনের ধূমপান থামাতে পারলেই ফুসফুসের ক্যান্সার দুই-তৃতীয়াংশ কমবে। এই বদভ্যাস যেনো না হয় সে জন্য শিশুদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে, মত ক্যান্সার রিসার্চ এর ড. রেবেকা লিনেসের।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৫
এমএমকে