ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা-২

হাসপাতালের সামনেই ক্লিনিক-প্যাথলজির জঞ্জাল

এম.আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৫
হাসপাতালের সামনেই ক্লিনিক-প্যাথলজির জঞ্জাল ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শিক্ষা ও সংস্কৃতির শহর ময়মনসিংহে এখন চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক দাপট। শহরের চরপাড়া, ব্রাক্ষপল্লী, ভাটিকাশর ও বাঘমারা এলাকায় গত কয়েক বছরে গড়ে উঠেছে নামসর্বস্ব ও নিম্নমানের অসংখ্য ক্লিনিক আর ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

যেগুলোর অধিকাংশেই স্থায়ী চিকিৎসক, দক্ষ টেকনিশিয়ান, নার্স, আয়া বা অন্যান্য স্টাফ না থাকায় চিকিৎসার নামে চলছে অপচিকিৎসা। হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। কিন্তু ঠিকই প্রতিনিয়তই কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ক্লিনিকওয়ালারা। সম্প্রতি শহরের ক্লিনিকপাড়ার বেপরোয়া এই চিকিৎসা বাণিজ্য ও অনিয়মের নানা দিক অনুসন্ধান করে ধারাবাহিক প্রতিবেদন তৈরি করেছেন বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান। পড়ুন দ্বিতীয় পর্ব

ময়মনসিংহ: কিডনিতে পাথর হওয়ায় শহরের চরপাড়া ঘরোয়া রেস্টুরেন্টের পাশেই ইডেন হাসপাতালে ভর্তি হন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বয়রা ইউনিয়নের পাগলা বাজার এলাকার রাজমিস্ত্রী আব্দুল করিম (৬০)। পরদিন ক্লিনিকটির চিকিৎসক শহীদুর রহমান ও শফিকুল ইসলাম তার অস্ত্রোপচার করেন।

একদিন পরেই রাতে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা ক্লিনিকটি ঘেরাও করে। চম্পট দেয় একজন সেবিকা ও অন্যান্য কর্মচারী। দ্রুত গা ডাকা দেন ক্লিনিকটির পরিচালক শামীম আহমেদও। ঘটনাটি ঘটে ২০১৪ সালের ১৩ মে।

বছর চারেক আগের ঘটনা। পিত্তথলির পাথর অপসারণের জন্য নিজের বাড়ির পাশের শহরের আকুয়া এলাকার হেদায়েত হাসপাতালে স্ত্রী সালেহা বেগমকে ভর্তি করান দুলাল মিয়া। ৯ হাজার টাকা চুক্তিতে অস্ত্রোপচারের পর তার স্ত্রী উল্টো মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ৫ দিন পর সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে তাকে ভর্তি করা হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

সেখানে নতুন করে অস্ত্রোপচারের পর লাশ হন সালেহা। অসময়ে প্রিয়তমা স্ত্রীর প্রস্থানের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি স্বামী দুলাল। ওই সময় তিনি সংবাদ সম্মেলন করে চিকিৎসক নাসির উদ্দিনের শাস্তিও দাবি করেছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এক দালালের মাধ্যমে মাসিক নিয়মিতকরণ (এম.আর) করতে শহরের ভাটিকাশর গোরস্থান গেটের উল্টো দিকের রাজধানী হাসপাতাল (প্রা.) ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান এক নারী। ঘটনাটি মাস চারেক আগের। নামসর্বস্ব এ ক্লিনিকটিতে অদক্ষ নার্স দিয়ে এমআর করানোর কারণে তার জরায়ু ফুটো হয়ে যায়।

দীর্ঘ দিন পরও তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় অবশেষে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যান। ওই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা করানোর পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। কিন্তু চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলেন মাতৃত্বের ক্ষমতা!

লোকলজ্জার ভয়ে ওই নারী নিজের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি। পরবর্তীতে এ ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে ধুরন্ধর ক্লিনিক মালিকরা এক শ্রেণীর টাউটের মাধ্যমে ভয়াবহ প্রতারণার এ বিষয়টি ধামাচাপা দেন। এমন অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই রোগীর এক স্বজনের।

সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার, বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬ জেলার মানুষের চিকিৎসা সেবার প্রধান আশ্রয়স্থল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনেই অসংখ্য বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেট থেকে তাকালে সহজেই চোখে পড়বে চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের এমন ‘জঞ্জাল’। এরা বিস্তৃত শহরের চরপাড়ার আশপাশের বিভিন্ন এলাকাতেও। এসব নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে রোগীদের সঙ্গে রীতিমতো চলে প্রতারণার মহোৎসব।

এসব ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বড়-ছোট সাইনবোর্ডে আবার রোগীদের দৃষ্টি কাড়তে ‘সরকার অনুমোদিত’, ‘একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ অত্যাধুনিক হাসপাতাল’, ‘কম খরচে উন্নত সেবা’ ইত্যাদি নজর কাড়া বিশেষণ জুড়ে দেয়া হয়েছে।

ভাড়াটিয়া বাসার দুতলা, তিনতলা ভবন কিংবা ছোটখাটো দোকান ঘরের মতো এসব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগে স্বাস্থ্য সেবার মান প্রশ্নবোধক। আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠান আশপাশের চিপা বা সরু গলি, শহরের কৃষ্টপুর, ধোপাখলা, ভাটিকাশর, চরপাড়া ও মাসকান্দা এলাকায় গড়ে উঠেছে। তন্মধ্যে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবার নামে চলছে রীতিমতো অরাজকতা।

কোন কোন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যেমন সরকারি অনুমোদন নেই তেমনি অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানেও চিকিৎসা সেবার মান প্রশ্নবিদ্ধ। মূলত নিজস্ব দালাল নির্ভর এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ অন্তহীন। তাদের কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকলেও বাস্তবে কোন শর্তই তারা পূরণ করে না।

জানা যায়, ১৯৮২ সালের ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ রেগুলেশন’ অনুযায়ী, ১০ শয্যা বিশিষ্ট কোনো ক্লিনিকের জন্য তিনজন স্থায়ী চিকিৎসক, তিনজন ডিপ্লোমাধারী জ্যেষ্ঠ সেবিকা, তিনজন কনিষ্ঠ সেবিকা, তিনজন আয়া, তিনজন ওয়ার্ডবয়, একজন ব্যবস্থাপক ও দু’জন পাহারাদার থাকা আবশ্যক।

কিন্তু কাগজে-কলমে এসব শর্ত মেনে ক্লিনিকগুলোর অনুমোদন নিলেও কোন ক্লিনিকে গিয়েই এসব শর্তের বাস্তবায়ন চোখে পড়েনি। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবার মান দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠতে হয়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা এমন নামসর্বস্ব উল্লেখযোগ্য ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উল্লেখযোগ্য হলো- ইডেন হাসপাতাল, মেমোরিয়াল হাসপাতাল, নিরাপদ হাসপাতাল, মৈত্রী নার্সিং হোম, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ মেঘনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দি স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মিলেনিয়াম আল্ট্রা সাউন্ড অ্যান্ড প্যাথলজি ল্যাব, ড্যাফোডিল মেডিকেল সার্ভিসেস, মুক্তি ডায়াগনসিস, স্বর্ণালী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ পরিচর্যা হাসপাতাল (প্রা.), ইউনিয়ন স্পেশালাইজড হসপিটাল লিমিটেড, রুম্পা নার্সিং হোম, শাহনাজ প্যাথলজি, এশিয়ান প্যাথলজি ল্যাব।

এছাড়া মাল্টি কেয়ার হাসপাতাল (প্রা.), তানিয়া (প্রা.) হাসপাতাল, পলাশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রেজা ডায়াগনো সেন্টার, ডিজি ল্যাব, এন্ডোস্কোপি সেন্টার, দি কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্বাস্থ্যসেবা (প্রা.) হাসপাতাল, নিউ মেডিকেয়ার প্যাথলজি ল্যাব, নিউ সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি, বিএন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রেনেসাঁ হাসপাতাল, দিবা-রাত্রি হাসপাতাল, নিউ সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এপোলো মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যান্ড ক্লিনিক, নাভানা প্যাথলজি ল্যাব, প্রান্তিক প্যাথলজি ল্যাব, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, গ্রামীণ হাসপাতাল, একুশে হাসপাতাল (প্রা.), রাজধানী হাসপাতাল (প্রা.) ডায়াগনস্টিক সেন্টার ইত্যাদি।    

স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলা সিভিল সার্জন অফিস এসব প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম বন্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ না নেয়ায় দিন দিন এরা হয়ে উঠছে চরম বেপরোয়া। লোক দেখানো অভিযানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ তাদের কার্যক্রম।

জানা গেছে, শহরবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে গত বছর এসব ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জঞ্জালে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সময় প্রতিষ্ঠানে অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্নতা ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে ভৎর্সনার পাশাপাশি চারটি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন।

এর মধ্যে চরপাড়া এলাকার গ্রামীণ হাসপাতালকে ২ লক্ষ টাকা, আশা হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা, ইসলামিয়া জেনারেল হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা ও নিহাদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সূত্র মতে, স্থানীয় প্রভাবশালী মহল এ অভিযান বন্ধে তৎপর হয়ে উঠে। এরপর থমকে দাঁড়ায় অভিযান।

তবে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, শহরের ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিতই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

শহরের ধোপাখলা এলাকার মাতৃছায়া নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, ৫ মাস আগে গড়ে উঠা ১১ শয্যার এ ক্লিনিকের নেই সরকারি অনুমোদন।

সরেজমিনে দেখা গেলো, এখানে কলিং চিকিৎসক রয়েছেন একজন। এ ক্লিনিকে গিয়ে পাওয়া গেলো শিল্পী সরকার সাথী নামে ‘কথিত’ একজন সেবিকাকে।

কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেছেন, তার নাম বলতে না পারলেও শিল্পীর সাফ জবাব, শেরপুরের একটি স্কুল থেকে এস.এস.সি পাস করেছি। পরে ক্লিনিকপাড়া ঘুরে কাজ শিখেছি। প্রাতিষ্ঠানিক কোন সনদ আমার নেই। এখানে আমিসহ এমন দুজন সেবিকা রয়েছে।

আলাপচারিতার সময় মুখখানি গোমড়া করে এলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা। ভীষণ রাগ নিয়ে বললেন, কোন লাইসেন্স নাই, তো কী হয়েছে। পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স তো আছে। সিভিল সার্জন অফিস ওকে করে দিয়েছে। এখন শুধু স্বাক্ষর বাকী। কদিনের মধ্যেই সরকারি অনুমোদন পেয়ে যাবো।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সরেজমিনে শহরের ভাটিকাশর এলাকার রাজধানী হাসপাতাল (প্রা.) ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গেলে সেখানে কোন চিকিৎসক বা নার্সকে পাওয়া যায়নি। টেকনিশিয়ান পরিচয়দানকারী মারুফ হোসেন বলেন, এখন সবাই বাইরে। পরে আসুন।
 
পরে তিনি দেয়ালে সাঁটানো এ ক্লিনিকের পার্টনার আসাদুজ্জামান তালুকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বললেও তিনি মুঠোফোন ধরেননি।

এসব ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপচিকিৎসা বন্ধের বিষয়ে নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা: এ.কে.এম.ওয়ালিউল্লাহ বলেন, এসব চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে প্রশাসনকেই সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে পরিদর্শনের মাধ্যমে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্স দিতে হবে। তাহলে নিম্নমানের ক্লিনিক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আর প্রশাসন যদি তাদের অপতৎপরতা বন্ধে চাপ দেয় তবে ওইসব ক্লিনিক বাধ্য হয়েই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তখন আমরা তাদের রাশ টেনে ধরতে পারবো, বলেন ওয়ালীউল্লাহ।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন ডা: মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন- ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়ম ঠেকাতে আমরা তৎপর রয়েছি। এসব কর্মকাণ্ড বন্ধে তাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। খুব শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৫
জেডএম

** সড়কজুড়ে রোগী ঠকানো বাণিজ্য!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।