ঢাকা: বয়ঃসন্ধিকালে সন্তান। বিভিন্ন পরিবর্তন তার।
এ বসয়ে সে আগের মতো না ছোট বেলার ধাঁচ, আবার বড় না হয়েও শক্ত দায়িত্ব নিয়ে একলা পথচলার প্রবণতা। আর সে ধারা থেকেই পথে-বিপথে যাওয়া। এর একটি অংশ ধূমপানও। আগ্রহ বা কৌতুহল যাই হোক না কেন, প্রথমে স্বাদ নিয়ে দেখা। পরে অবশ্য বদঅভ্যাসে পরিণত হওয়া।
যার ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী। আর এ নিয়ে বর্তমান সময়ে অভিভাবকদের দুশ্চিন্তাও কম নয়। তবে দুশ্চিন্তা নিয়ে নয়, বুঝতে হবে এর সমাধান তারাই অর্থাৎ অভিভাবকরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক খবরে যুক্তরাষ্ট্রের লয়োলা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বয়ঃসন্ধিকালে বা টিনএজার বয়সে ছেলে-মেয়েদের মানসিক-শারিরীক পরিবর্তন আসে। ফলে তৈরি হয় নানা অজানার কৌতূহল। এর মধ্যে ধূমপানে মগ্নতা একটি সাধারণ প্রবৃত্তি। তবে প্রথমেই এটিকে রুখে দিতে পারলে কমে আসবে এর প্রতি আগ্রহ। আর এটি করা সম্ভব- এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে।
সন্তান ধূমপানে অভ্যাস গড়ে এর প্রতি কৌতূহল মেটাবার আগেই প্রতিটি অভিভাবকের উচিত এর ক্ষতিকর দিকটি সামনে এনে তা তুলে ধরা। এতে সমাধান আসবে। কমবে বাবা-মা’র দুশ্চিন্তাও।
লয়োলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ গ্যারি সিগম্যান বলেন, শিশু বয়স থেকে শরীরে নিকোটিন বেড়ে যাওয়া একটি দীর্ঘমেয়াদী অবনতির কারণ। এটি মানুষকে সুস্থভাবে বাঁচতে ও যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধার সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে বিচলিত করে, উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায়, স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে, টেনশন বাড়ায়, আরও কত কী!
তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, এ জন্য বাবা-মা-ই পারেন সন্তানকে বিপথ থেকে ফিরিয়ে আনতে। তাই প্রাণ খুলে কথা বলুন সন্তানের সঙ্গে। কোনো কথা চাপা না রেখে শেয়ারিং হতে হবে। সন্তানের বদঅভ্যাস যেন না গড়ে ওঠে এ বিষয়ে তাকে বোঝান। আর সর্বপরি পারিবারিক কিছু নিয়ম-নীতি ও সীমাবদ্ধতাও গড়ে তুলুন।
সম্পূর্ণভাবে সন্তানের কৌতূহল নিবারণ করা সহজ নয়, তবে এ বিষয়ে সন্তানের বেড়ে ওঠার বয়স থেকেই খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে জ্ঞান চর্চা চালিয়ে গেলে সমাধান সম্ভব। আর এ জন্য সন্তানের ধূমপান রোধে ভূমিকা বাবা-মার-ই।
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
আইএ