ঢাকা: বাংলাদেশের প্রথম ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি হিসেবে যুক্তরাস্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (ইউএস এফডিএ) অনুমোদন পেয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
এর আগে ১৯ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানির টঙ্গীস্থ কারখানার ওরাল সলিড ডোসেজ ফ্যাসিলিটি পরিদর্শন করেন ইউএস এফডিএ প্রতিনিধিরা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটি ইউএস ড্রাগ অথরিটির কাছ থেকে এস্টাবলিশমেন্ট ইন্সপেকশন রিপোর্ট পেয়েছে। রিপোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে অডিট নিস্পত্তির উল্লেখ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুন) বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন লাভ শুধু বেক্সিমকো ফার্মার জন্যই নয় দেশের ওষুধ শিল্পের জন্যও একটি মাইলফলক। ওষুধ উৎপাদন, গুণগতমান, সুবিধা ও যন্ত্রপাতি, উপাদান, উৎপাদন ক্ষমতা, প্যাকেজিং, লেবেলিং এবং ল্যাবরেটরি নিয়ন্ত্রণসহ ৪৮৩টি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ইউএস এফডিএ এ অনুমোদন দিয়ে থাকে। তাই এ অনুমোদন লাভ অত্যন্ত সম্মানের।
বেক্সিমকো ফার্মা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি ওষুধের জন্য অ্যব্রিভিয়েটেড নিউ ড্রাগ অ্যাপ্লিকেশন (ANDA) জমা দিয়েছে। ANDA অনুমোদন পেলে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বেক্সিমকো ফার্মার ওষুধ পাওয়া যাবে।
বেক্সিমকোর এ অর্জন সম্পর্কে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের জন্য এটা দারুণ এক অর্জন। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ওষুধ রপ্তানির সুযোগ তৈরিই শুধু নয়, তাদের অনুমোদন লাভ করাও গৌরবের। কারণ তারা নিয়ম-নীতি এবং গুণগতমানের ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর।
বেক্সিমকো ফার্মা দেশের নেতৃস্থানীয় ওষুধ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, তাইওয়ান, ব্রাজিলসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন রয়েছে কোম্পানিটির। প্রায় অর্ধ শতাধিক দেশে বেক্সিমকোর ওষুধ রপ্তানি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
বিজ্ঞপ্তি/আরএম