ঢাকা: গত কয়েক বছরে ফ্যাশন জগতে স্থান করে নিয়েছে স্কিন টাইট জিন্স। নারী বা পুরুষ উভয়েরই ফ্যাশন তালিকায় রয়েছে পোশাকটি।
তবে সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বেশি টাইট জিন্স বা ট্রাউজারে হতে পারে স্বাস্থ্যহানি।
বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন, অতিরিক্ত টাইট জিন্স পরলে পেশি ও স্নায়ুর স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক জার্নাল অব নিউরোলজি, নিউরোসার্জারি অ্যান্ড সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশ পেয়েছে একটি বাস্তব বিরল ঘটনা। যা এর আগে চিকিৎসাবিজ্ঞানে দেখা যায়নি। এক ৩৫ বছর বয়সী নারী অতিরিক্ত টাইট জিন্স পরার কারণে টানা চারদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ঘটনার বিবৃতিতে জানা যায়, তিনি বাড়ি স্থানান্তরের কাজে পরিবারকে সাহায্য করছিলেন। সারাদিন টাইট জিন্স পরে থাকায় তার হাঁটুর নিচের পেশি ফুলে যায়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে তার পা অসাড় হয়ে যেতে শুরু করে ও ঠিকভাবে পা ফেলতেও কষ্ট হচ্ছিল। তিনি টানা কয়েক ঘণ্টা পা নাড়াচাড়া করতে পারেননি ও প্রায় চারঘণ্টা সেখানকার মেঝেতেই শুয়ে ছিলেন। পরে মেডিকেল সহযোগীরা এসে জিন্স কেটে তার পা বের করেন। এরপর চারদিন তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, এ শারীরিক অবস্থাকে কম্পার্টমেন্ট সিনড্রোম বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানান, অতিরিক্ত টাইট জিন্স পরায় তার পায়ের পেশিতে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ হয়নি। ফলে তার পায়ের পেশি ফুলে ও স্নায়ু সংকোচিত হয়ে গেছে।
স্কিন টাইট জিন্স পরায় কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এ ঘটনা এটিই প্রথম। এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার রয়েল অ্যাডিলেড হাসপাতালের গবেষকরা জানিয়েছেন, টাইট জিন্স স্নায়বিক জটিলতার অন্যতম নতুন এক কারণ।
বলাই বাহুল্য, গবেষকদের রিসার্চ পেপারে স্নায়বিক জটিলতার কারণগুলোর তালিকায় টাইট জিন্স নামটি এতকাল ছিল না।
তবে এর আগে, মেরালজিয়া প্যারাসথেটিকার সঙ্গে টাইট জিন্সের নামটি উঠে এসেছিল। এটি সাধারণত টাইট জামাকাপড়, বাড়তি ওজন ও গর্ভধারণজনিত কারণে হয়। অর্থাৎ টাইট জিনস পরার কারণে পেলভিস (মেরুদণ্ডের গোড়ার অস্থি) থেকে উরু পর্যন্ত সন্নিবেশিত স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ায় ব্যথা, অসাড়বোধ ও প্রদাহ হতে পারে।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে টাইট জিন্স পরলে স্নায়ুর স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৫
এসএস