ব্রাহ্মণবাড়িয়া: চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে রোগীর স্বজনরা। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ ও ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম টিটুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘরের দেয়াল ভেঙে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছয় বছর বয়সী ছেলে নিলয় আহত হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে রোগীর স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
একপর্যায়ে নাটাই গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। তারা জরুরি বিভাগের চেয়ার-টেবিল, অপারেশন থিয়েটার, রোগীর কক্ষ, যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করে। এ নিয়ে হাসপাতালে হট্টগোল বেধে যায়।
পরে খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাসাপাতালে পুলিশ এলে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের কাছ থেকে রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষুব্ধরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে অন্তত ৫/৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।
এলাকাবাসীর হামলায় সদর থানা পুলিশের এসআই সোহাগ ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল আলম টিটুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
এ ব্যাপারে জানতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আকবর হোসেন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে ফের অপ্রীতিকর কোনো কিছু ঘটার আশঙ্কায় হাসপাতাল এলাকায় অতিরিক্ত মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ২১ জুলাই, ২০১৫
আরএ/