ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ঝরান তলপেটের মেদ

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৫
ঝরান তলপেটের মেদ

ঢাকা: আয়নার সামনে দাঁড়ালেই ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা মিষ্টি হাসিটা উবে যায়। ইস্ সবই তো ঠিক ছিলো, কিন্তু মেদটা যদি না থাকতো!

তলপেটের মেদ নিয়ে অনেকেই থাকেন অস্বস্তিতে।

মেদ দূর করতে একনাগাড়ে ফ্যাটজাতীয় খাবারকে ছেঁটে ফেলছেন খাদ্যতালিকা থেকে। আবার অনেকেই খাচ্ছেন স্লিম হওয়ার ট্যাবলেট। কিন্তু কিছুতেই ভালো ফল আসছে না। এতকিছুর পরও একটি জিনিসের কমতি রয়েই যায়। তা হলো শরীরের উপযোগী ব্যায়াম।

মনে রাখা দরকার, আপনার মেদে জমা অতিরিক্ত চর্বি দূর করতে সবার আগে প্রয়োজন ক্যালরি পোড়ানো। খাদ্যতালিকার দিকে নজর দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন পেটের কিছু ব্যায়াম। তবে ব্যায়ামের মাধ্যমে কত দ্রুত মেদ ঝরাতে পারবেন তা পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার দৈনন্দিন চর্চার ওপর।  
বাড়তি মেদ কমাতে কিছু ব্যায়াম

পেটের ব্যায়াম
আপনার ফিটনেস রুটিনে পেটের ব্যায়াম যেমন- ক্রস ক্রানচেস, স্ট্যান্ডার্ড ক্রানচেস, লেগ রাইসেস, সাইড টুইস্টস, সাইড ব্যান্ডস ও রিভার্স ক্রানচেস রাখুন। এসব ব্যায়াম পেটের চর্বি অপসারণ করে ও পেশীকে টানটান করে।

কার্ডিওভাস্কুলার এক্সারসাইজ
দৌড়, জাম্পিং ও সাইক্লিং শরীরের বাড়তি ক্যালরি ঝরাতে সাহায্য করে। এই ব্যায়ামগুলো পেটের মেদ ছাড়াও শরীরের অন্যান্য পেশীতে জমা চর্বি কমায়। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ৩-৫ দিন অন্তত ৩০-৪০ মিনিট ব্যায়ামগুলো করুন।

যোগব্যায়াম
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় যোগব্যায়ামের তুলনা নেই। তলপেটের মেদ কমাতে আসন, নিশ্বাসের ব্যায়াম ও প্রাণায়াম,  তদাসন, ভুজাঙ্গাসন, চক্রাসন, ধনুর‍াসন প্রভৃতি করতে পারেন।

উপযুক্ত খাদ্যতালিকা
খাবার তালিকা তৈরির সময় আগে দেখুন কোন কোন খাবার থেকে আপনার শরীরে বাড়তি ক্যালরি ঢুকছে। বাইরের ফাস্টফুড ও কোল্ড ড্রিঙ্কস কতটা খাচ্ছেন সে দিকটাও ভাবুন। পিজ্জা, সোডা, ভাজাপোড়া খাবার, আইসক্রিম জাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর ফ্যাট ও শর্করা। একটি কথা মনে রাখা জরুরি- মোটা হওয়া ও  সুস্বাস্থ্য এক নয়। তাই খাবার খাওয়ার সময় মাথায় রাখুন, যেন তা পুষ্টিকর হয়। কিন্তু শরীরে মেদ তৈরি না করে। ‌সবচেয়ে ভালো হয়, যদি একটি প্লেট রুটিন তৈরি করে নিতে পারেন। প্লেটে ৫০ শতাংশ শাক-সবজি ও ফল, ৩০ শতাংশ প্রোটিন ও ২০ শতাংশ শর্করা জাতীয় খাবার রাখুন। এর পাশাপাশি প্রচুর পানি ও জুস খান।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।