ঢাকা: ভারতীয় উপমহাদেশে টকদই জনপ্রিয় একটি খাবার। ভারতে ভাত ও রুটির সঙ্গে টক দই খাওয়া হয়।
টকদই বাড়িতেই বানানো সম্ভব। ভালো টকদই বানাতে চাইলে জ্বাল দেওয়া দুধে পুরোনো টক দই মেশান। এবার পাত্রটিকে ৩০-৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রেখে দিন। কয়েক ঘণ্টা পর দুধ টকদইয়ে পরিণত হবে।
টকদইয়ের নানান স্বাস্থ্য গুণাগুণ থাকায় পুষ্টিবিদরা দৈনিক খাদ্যতালিকায় টকদই রাখার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন খাবারে কেন টকদই রাখবেন তা একবার দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
উন্নত হজম প্রক্রিয়া
পরিপাকতন্ত্র সহজেই টকদইয়ের মধ্যকার পুষ্টি উপাদান শোষণ করে নিতে পারে। এছাড়াও টকদই অন্য খাবারের পুষ্টি শোষণ করতেও সহায়তা করে।
হৃদবান্ধব
উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টির ঝুঁকি হ্রাস করে বলে টকদই হৃদবান্ধবই বলা চলে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
টকদইয়ের মধ্যে যে ব্যাকটেরিয়া থাকে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও ক্ষতিকারক মাইক্রো অর্গানিজমের আক্রমণ থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে।
ক্যালসিয়ামের উৎস
উচ্চমানের ক্যালসিয়াম থাকে বলে টকদই হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে।
দুধের বিকল্প
যারা দুধ খান না বা ল্যাক্টোজ এড়াতে চান তারা নিশ্চিন্তে টকদই খেতে পারেন।
ওজন হ্রাসে কার্যকর
টকদইয়ের ক্যালসিয়াম শরীরের অতিরিক্ত কর্টিসল হরমোন বাড়তে দেয় না। ফলে ওজন হ্রাস পায়।
সুন্দর ত্বক ও চুল
জিঙ্ক ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ টকদই ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি রোদে পোড়া দাগ তোলে ও ত্বকে কোমলভাব ফিরিয়ে আনে। চুলের ক্ষেত্রে টকদই খুশকিনাশক হিসেবে কাজ করে, স্কাল্পের ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করে ও চুল মসৃণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৫
এসএমএন/এএ