ঢাকা: সবজি ও আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে শতমূলীর ব্যবহার রয়েছে। শতমূলীর বিভিন্ন অংশ দিয়ে নানা ধরনের ওষুধ তৈরি হয়।
বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব অঞ্চলে শতমূলীর চাষ হলেও এর শুরুটা ছিলো এখন থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে।
পুষ্টি উপাদান
শতমূলী উচ্চমানের ফলিক অ্যাসিড ও পটাশিয়ামের উৎস। এতে আরও রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-৬। একশো ৪০ গ্রাম শতমূলীতে রয়েছে ৬০ শতাংশ ফলিক অ্যাসিড। শতমূলী কাঁচা ও রান্না করে উভয়ভাবেই খাওয়া যায়। তবে রান্নার ক্ষেত্রে ভাপে রান্না বা কম সময় ধরে রান্না করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
উপকারিতা
শতমূলীর স্বাস্থ্য গুণাগুণ অনেক। এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে। অ্যাসিডিটি, শারীরিক দুর্বলতা, ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয় ও শরীরের নানা প্রকার প্রদাহ দূর করে।
পাইলস ও টিউমার নিরাময়ক এ উপাদান দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও রক্তের যে কোনো সমস্যার সমাধান করে। স্নায়ুকে সবল রাখে।
শতমূলীর শিকড় লিভার, কিডনি ও গনোরিয়া রোগের উপশমকারী। যাদের বদহজম সমস্যা রয়েছে তারা শতমূলীর শিকড় রস করে মধু দিয়ে খেতে পারেন।
ঋতুস্রাব ও জরায়ুর অসুস্থতা ছাড়াও লিউকোরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য শতমূলী ওষুধ হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৫
এসএমএন/এএ