ঢাকা: পেটে মেদ অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন এই মেদ হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারে আপনাকে? সম্প্রতি পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো জানিয়েছে, পেটের মেদ টাইপ টু ডায়াবেটিসের স্পষ্ট লক্ষণ।
পেটে মেদ জমার অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে- বংশগত, হরমোনের অসামঞ্জস্যতা, শারীরিক পরিশ্রম না করা ও অসাস্বাস্থ্যকর খাবার।
পেটের মেদ কমাতে আদর্শ উপায় হলো সঠিক খাবার নির্বাচন ও দৈনন্দিন শরীরচর্চার অভ্যাস। কিছু সহজলভ্য খাবার দৈনন্দিন তালিকায় রেখে অল্পদিনেই মেদ ঝরাতে পারেন। জেনে নিন-
আনারস
আনারসে রয়েছে ব্রোমেলেইন নামক এনজাইম যাতে রয়েছে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই এনজাইম প্রোটিনের বিপাকে সাহায্য করে। যা মেদ কমায়।
তরমুজ
ফ্যাট অপসারণে তরমুজ উৎকৃষ্ট একটি ফল। এর ৯১ শতাংশই পানি। তরমুজ বহুক্ষণ ধরে ক্ষুধা নিবারণ করে ও শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়।
গ্রিন টি
এন্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ গ্রিন টি বিপাকক্রিয়ার উন্নতি ঘটায় ও বডি ফ্যাট কমায়। ক্ষুধা দমনকারী উপাদান হিসেবেও এটি পরিচিত।
আপেল
খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে আপেল খেতে পারেন। কারণ ডায়েট্রি ফাইবার, ফ্লেভোনয়েড ও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ আপেল অনেকক্ষণ পর্যন্ত ক্ষুধা অনুভব হতে দেয় না। এতে প্যাকটিন বা শালজাতীয় উপাদান থাকে। এ শালজাতীয় উপাদান এক প্রকার জেলে রূপান্তরিত হয় যা কোলেস্টেরল ও ফ্যাট জমতে দেয় না। ফলে ওজন হ্রাস পায়।
শিমজাতীয় খাবার
এতে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন ও লো ক্যালরি, যা শক্তিবর্ধক ও ওজন নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
সবুজ পাতাযুক্ত সবজি
সবুজ পাতাযুক্ত সবজিতে ক্যালরি কম থাকে। প্রচুর ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি পরিপূর্ণ এসব খাবার বডি ক্লিনজিং হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে ভেজিটেবল জুস যেমন- পালংশাক ও সেলারি পাতার জুস খেতে পারেন।
টমেটো
টমেটোতে 9-oxo-ODA নামক এক প্রকার উপাদান থাকে। যা রক্তে লিপিডের মাত্রা কমায়। ফলে পেটে চর্বি জমতে পারে না। এ উপাদান স্থুলতার কারণে সৃষ্ট অন্য দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার সঙ্গেও লড়াই করে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৫
এসএমএন/এএ