সিলেট: সিলেটের ২ হাজার ৫৬৩টি টিকাদান কেন্দ্রে শনিবার (১৪ নভেম্বর) ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় রাউন্ড উপলক্ষে এসব কেন্দ্রে জেলার ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৪৯ জন শিশুকে ভিটামিন-এ খাওয়ানো হবে।
এদের মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাসের ৪৭ হাজার ৫৬৩ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ও ১২ থেকে ৫৯ মাসের ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৪৮৫ জন শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশের মতো সিলেটের ১২টি উপজেলায় এই কার্যক্রম চলবে বলে জানান সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জেলার ১২টি উপজেলায় অস্থায়ী টিকা কেন্দ্র রয়েছে ২৪১৬টি, স্থায়ী টিকা কেন্দ্র ১২টি, অতিরিক্ত টিকা কেন্দ্র ৯৯টি, ও ভ্রাম্যমাণ ঠিকা কেন্দ্র রয়েছে ৩৬টি। টিকাদানে প্রতি কেন্দ্রে ৩ জন করে ৬ হাজার ৮৬০ জন সেচ্ছাসেবী কাজ করবেন।
এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের ১ হাজার ১২৫ জন কর্মী ক্যাম্পেইন কাজে নিয়োজিত থাকবেন।
এদের মধ্যে ক্যম্পেইন করার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন এ ক্যাপসুল সরবরাহ রয়েছে বলে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, জেলা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাত্তার আজাদ, ইউনিসিইএফ এর ডা. সাদি, ডা. নভোজতি দেব।
সভা পরিচালনা করেন সিভিল সার্জনের মেডিকেল অফিসার ডা. রাহিল।
সভায় জানানো হয়, যদি কোনো শিশু গত ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ‘ ক্যাপসুল খেয়ে থাকে তাহলে সেই শিশুকে আর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
এছাড়া কান্নারত অবস্থায় বা জোর করে শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। কোনো শিশুকে আস্ত বা গোটা ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ক্যাপসুলের ভিতরের তরল টুকু খাওয়াতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এএএন/আরএ