ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

২১ শতকের স্টেথস্কোপ ‘হার্টবাড’

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
২১ শতকের স্টেথস্কোপ ‘হার্টবাড’

ঢাকা: স্টেথস্কোপ। প্রায় ২শ বছর আগে উদ্ভাবন হওয়া যন্ত্রটির সঙ্গে আমরা কম-বেশি সবাই পরিচিত।

হাসপাতাল-ক্লিনিকে চিকিৎসকের গলায় ঝুলতে দেখা যায় এটি। আর অসুস্থ হলে পাওয়া যায় এর সান্নিধ্য।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিগগিরই এটি চিকিৎসকদের সঙ্গ ত্যাগ করে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের ঘরে চলে আসবে। অর্থাৎ, প্রথাগত যন্ত্রটি তার রূপ পরিবর্তন করতে যাচ্ছে। ২১ শতকের স্টেথস্কোপ হবে হার্টবাড।

রোগীর শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য চিকিৎসক কানে স্টেথস্কোপ লাগিয়ে হার্টবিট শোনেন। একইভাবে ‘ইকো কোর’ হার্টবিট শুনে চিকিৎসকের স্মার্টফোনে তথ্যগুলো পাঠিয়ে দেয়। ওই রেকর্ড সংরক্ষণ করে চিকিৎসক রোগীর পরবর্তী সাক্ষাতে আরও সঙ্গতিপূর্ণ চিকিৎসা দিতে পারেন। ফলে চিকিৎসার মানও বাড়ছে।

এবার আরেকটু বড় আকারে ভেবে যে যন্ত্রটি উদ্ভাবন করা হয়েছে, একে বলা হচ্ছে ‘হার্টবাড’।

যন্ত্রটির উদ্ভাবক অর্ল্যান্ডো হেলথ’র কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. ডেভিড বেলো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, হার্টবাড কেবল শরীরের ভেতরের শব্দই শুনবে না। ফলে বহুল প্রচলিত স্টেথস্কোপের চেয়ে এটি অনেক বেশি উন্নত। যেহেতু স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যাবে যন্ত্রটি, তাই রেকর্ড, স্টোর ও শেয়ার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এটি আগামী দিনের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।

ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন, চিকিৎসক স্টেথস্কোপটি কানে লাগানোর পরিবর্তে ত‍ার স্মার্টফোনে সংযুক্ত করে রোগীর বুকে ধরবেন। অ্যাপ চালু করার পরে মোবাইল ফোনের মনিটরে হার্টবিট ছবি আকারে দেখা যাবে এবং স্পিকারে শব্দ শোনা যাবে। চিকিৎসক ভলিউম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ও রোগীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে ওই হার্টবিট পরবর্তী চিকিৎসার জন্য সংরক্ষণ করতে পারবেন।

যন্ত্রটির কার্যকারিতা প্রমাণ করতে গবেষকরা এফডিএ অনুমোদিত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর স্টেথস্কোপের সঙ্গে হার্টবাড’র তুলনা করেন। ৫০ জন রোগীর পর্যবেক্ষণ শেষে দেখা যায়, হার্টবাড অনেক বেশি কার্যকর। এফডিএ অনুমোদিত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর স্টেথোস্কোপ যে শব্দগুলো শনাক্ত করতে পারে না, সেগুলোও হার্টবাড’ এ পরিষ্কারভাবে ধরা পড়ে।

আকারে ছোট ও সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে ‍যাওয়া যায় বলে প্রসূতিদের জন্য এটি খুবই কার্যকর যন্ত্র মনে করছেন বেলো।

বাংলাদেশ সময়: ০১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
এটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।