ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যৌন নির্যাতনের অভিযোগ

ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে রুল জারি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৫
ইউনাইটেড হাসপাতালের বিরুদ্ধে রুল জারি

ঢাকা: এক নারী রোগীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জড়িত স্টাফ (ব্রাদার) নার্সের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে জড়িত স্টাফ নার্স সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ৭ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরের জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।



বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো.সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

রুলে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশের আইজি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ডিএমপি কমিশনার, গুলশানের ডিসি ও এসি এবং গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

‘ইউনাইটেড হাসপাতালে নারী রোগীকে যৌন নিপীড়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদন একটি জাতীয় দৈনিকে ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।  

ওই দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীর অভিজাত আবাসিক এলাকা গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে এক নারী রোগীকে যৌন নিপীড়নের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে হাসপাতালের সাইফুল ইসলাম নামে ব্রাদারকে (স্টাফ নার্স) চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সাইফুলের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সোমবার (৩০ নভেম্বর) ঘটনাটি ঘটলে বুধবার (২ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সাইফুলকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাকরিচ্যুত করে।

জানা গেছে, ওই নারী রোগী ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় অপারেশন হওয়ায় তিনি অজ্ঞান ছিলেন। এ সুযোগে হাসপাতালের ব্রাদার সাইফুল ইসলাম তাকে যৌন নিপীড়ন করেন।

ওই রোগী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি অজ্ঞান ছিলেন। হঠাৎ জ্ঞান ফিরে দেখেন, তার বুকসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একটি হাত বুলাচ্ছে। একই সঙ্গে তার শরীরের কাপড় (চাদর) সরাচ্ছে। তিনি তাকিয়ে দেখেন ওই হাত একটা ছেলের। তিনি ওই ছেলের মাধ্যমে নার্সদের ডাকার চেষ্টা করেন। প্রায় আধা ঘণ্টা পর নার্স আসেন। নার্স এসে তাকে (রোগী) ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তার স্বামীকে না জানাতে অনুরোধ করেন।

একপর্যায়ে ওই নারী স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

ওই নারীর স্বামী বলেন, প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর তিনি স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারেন। অভিযুক্ত ওই ব্রাদার সাইফুলকে পুলিশে সোপর্দ করার জন্য বলেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে সাইফুলকে পুলিশে দিতে রাজি হয়নি।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বারবার তাকে (নারীর স্বামী) মামলা করার জন্য বলেছেন। কিন্তু তিনি মামলা না করেই সাইফুলকে পুলিশে দেওয়ার কথা বলেছেন। বুধবার ওই রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৫/আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।