গুলিবিদ্ধ মানুষকে বাঁচানো কঠিন। কারণ অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ! তাই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ করাই হচ্ছে চিকিৎসকদের প্রথম করণীয়।
হাসপাতালে নেওয়ার আগেই এই ইঞ্জেকশনটি দিয়ে ফেলাটাই হবে উত্তম। কেননা তাহলে আগেভাগেই রক্তপড়া বন্ধ হয়ে যাবে আর চিকিৎসকদের কাজটাও হয়ে যাবে অনেক সহজ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(এফডিএ) এই যুগান্তকারী ইঞ্জেকশনটি এরই মধ্যে ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিসের ব্যবহারের পক্ষে অনুমোদন দিয়েছে সম্প্রতি। ইঞ্জেকশনটির ডিজাইন করা হয়েছে মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে গুলিবিদ্ধ বা বোমার আঘাতপ্রাপ্তদের রক্তক্ষরণ দ্রুত বন্ধ করার জন্য।
এফডিএ’র অন্যতম নির্বাহী উইলিয়াম মাইজেল বলেছেন: ‘যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য যখন কোনো কিছু তৈরি করা হয়, তখন তার উদ্দেশ্য থাকে খুব খারাপ পরিস্থিতিতে তা ব্যবহার করার; যে পরিস্থিতিতে রোগীর উন্নত সেবাদানের সুযোগ থাকে না। ’
তবে এটা পরে সাধারণ বেসামরিক মানুষদেরও জীবন বাঁচাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, সেদেশে যারা গুলি বা ক্ষতের কারণে মারা যান তাদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের মৃত্যুর জন্য দায়ী আসলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ। আর এসব মৃত্যুর ৫৬ শতাংশই ঘটে গুলিবিদ্ধকে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাবার আগেই।
একবার ভাবুন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো অতি উন্নত দেশেই যখন এমন অবস্থা সেখানে অনুন্নত দেশগুলোতে গুলিবিদ্ধ-আহত মানুষদের অবস্থাটা কতো ভয়াবহ।
যাক, স্পঞ্জ ইঞ্জেকশন যখন বেসামরিক মানুষদের ব্যবহারের জন্য বাজারে আসবে তখন বেঁচে যাবে অনেক মূল্যবান প্রাণ। কমবে অনেক চোখের জল আর আহাজারি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৫
জেএম