ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

হলুদের গুঁড়া নিরাপদ হলেও মরিচের গুঁড়া নয়

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৬
হলুদের গুঁড়া নিরাপদ হলেও মরিচের গুঁড়া নয়

ঢাকা: বাজারে প্রচলিত মরিচের গুঁড়া নিরাপদ নয় পুরোপুরি। তবে জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদের গুঁড়া নিরাপদ এবং এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশ্রণ নেই।

 

 সম্প্রতি এক নিরীক্ষার ফলাফল থেকে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারের মরিচের গুঁড়ায় অতিমাত্রায় আফলাটক্সিন রয়েছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্যে মারাত্মক ক্ষতিকর।

 

গত ১৫ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত উৎপাদন পর্যায়, পাইকারি বাজার এবং খুচরা বাজার থেকে ৯টি করে মোট ২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ২৭টি মরিচের গুঁড়ার নমুনার ২২টিতেই আফলাটক্সিন পাওয়া গেছে। এছাড়াও ৩টি নমুনায় পাওয়া গেছে ক্ষতিকর সুধান-১ রাসায়নিকের উপস্থিতি।
 
নিরীক্ষার ফলাফলে জানানো হয়, মরিচের গুঁড়ায় ১১টি পাইকারি বাজারের নমুনায় আফলাটক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মশলায় আফলাটক্সিনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি কেজিতে ১৫ মাইক্রোগ্রাম। তবে ওই ১১টি নমুনায় এর পরিমাণ ১৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি। এর মধ্যে ৫টিতে পরিমাণ ১৯.১৩ মাইক্রোগ্রাম এবং ৬টিতে আফলাটক্সিনের পরিমাণ ২১.৩৯ মাইক্রোগ্রাম।
 
পাইকারি বাজারের ১০টি নমুনায় সুধান-১ এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। আর উৎপাদন পর্যায়ের ৭টি নমুনায় পাওয়া গেছে এই ক্ষতিকর উপাদানের উপস্থিতি।
 
ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যবরেটরি এসব রাসায়নিক পদার্থের যেসব ক্ষতিকর দিকের উল্লেখ করেছে-
আফলাটক্সিনের ক্ষতিকর দিক: শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ করে। ক্যান্সার উৎপাদক হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় লিভার ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

সুধান-১ এর ক্ষতিকর দিক: প্রাথমিকভাবে চামড়ায় চুলকানি তৈরি করে। ক্যান্সার উৎপাদক হিসেবে চিহ্নিত। বংশ পরিক্রমায় সমস্যা সৃষ্টি করে।
 
এর আগে গত ১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত মরিচের মতোই তিন ধরনের সোর্স থেকে ২৭টি হলুদের গুঁড়ার নমুনা নিয়ে পরীক্ষা চালায় ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যবরেটরি। ম্যালাথিওন, ফেনথিওন, ইথিওন, মেথামিডোফস, মেটালাক্সিসহ বেশ কয়েকটি পেস্টিসাইডের উপস্থিতির ওপর পরীক্ষা চালানো হয়। তবে কোনো নমুনাতেই ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
 
মরিচের গুঁড়ায় অতিমাত্রায় আফলাটক্সিনের উপস্থিতির বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, মশলায় এসব ক্ষতিকর উপাদানের অতিমাত্রায় উপস্থিতির কারণে মূলত পেটের সমস্যা হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও শিশুদের জন্যে এটি ক্ষতিকর। তবে একবার বা দু’বার খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
 
এ ধরনের মরিচের গুঁড়া যদি নিয়মিত খেতে থাকে, তবে ডায়রিয়ার সমস্যা এমনকি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে বলেও জানান ডা. আব্দুল্লাহ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৬
এমএন/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।