ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

নাটোর সদর হাসপাতালে স্যালাইন সংকট, রোগীদের দুভোর্গ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
নাটোর সদর হাসপাতালে স্যালাইন সংকট, রোগীদের দুভোর্গ

নাটোর: প্রচণ্ড তাপদাহে নাটোরে ডায়রিয়ার প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন করে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

এদিকে, সদর হাসপাতালে কলেরা স্যালাইনের সংকট দেখা দেওয়ায় ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা দুভোর্গের শিকার হচ্ছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, স্যালাইন সরবরাহ না থাকায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে রাজশাহীর রিজার্ভ স্টক থেকে জরুরি ভিত্তিতে কিছু স্যালাইন আনা হয়েছে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত নাটোর সদর হাসপাতালে ১২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন অন্তত গড়ে ১৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালে কর্মরত এক কর্মকর্তা  এবং ভুক্তভোগী কয়েক রোগীর অভিভাবক বাংলানিউজকে জানান, গত প্রায় দু’মাস ধরে নাটোর সদর হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকট রয়েছে। ফলে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে রোগীদের হাতে খাবার স্যালাইন ধরিয়ে দিয়ে কলেরা স্যালাইন বাইরে থেকে কিনে আনতে ব্যবস্থাপত্র ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে রোগীরা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

নাটোর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রাম থেকে আসা রোগী মোমেছা বেগম (৫০) ও নওদাপাড়া এলাকার সোহেল (২২) বাংলানিউজকে জানান, সকালে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সারাদিনে দুইবার স্যালাইন পেয়েছেন।

একই ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া সাড়ে তিন বছরের শিশু এমরান হোসেনের অভিভাবক আসাদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, নিয়মানুসারে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় কলেরা ও খাবার স্যালাইন সরবরাহ করার কথা। কিন্তু রোগীদের তা দেওয়া হচ্ছে না। বাইরে থেকে কিনে এনে চিকিৎসা চলছে।

নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবুল কালাম আজাদ স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা অনুপাতে এক বছরের জন্য চাহিদাপত্র দেওয়া হয়।

চলতি বছরের জন্য প্রায় ৫ হাজার ব্যাগ কলেরা স্যালাইনের চাহিদা পত্র দেওয়া হয়েছে। সেখানে সরবরাহ পাওয়া গেছে ৩ হাজার ৭শ’ ব্যাগ। গত মার্চ মাসে তা প্রায় শেষ।  

তিনি আরো বলেন, কিছু মজুদ থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। চাহিদাপত্র দেওয়া হলেও বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় রাজশাহীর রিজার্ভ স্টক থেকে জরুরি ভিত্তিতে কিছু কলেরা স্যালাইন আনা হয়েছে।

নাটোরের সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, স্যালাইন সরবরাহ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অচিরেই এ সংকট দূর হবে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।