ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ব্যবস্থা থাকলেও অপারেশন হয় না ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

রফিকুল আলম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৬
ব্যবস্থা থাকলেও অপারেশন হয় না ধুনট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছবি-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ধুনট (বগুড়া): আধুনিক অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। রয়েছে উন্নতমানের যন্ত্রপাতিও।

কিন্তু সার্জন ও অ্যানেসথেসিস্ট না থাকার কারণে অপারেশন থিয়েটার প্রতিষ্ঠার থেকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করা হয়নি কোনো অপারেশন।

দীর্ঘদিন ব্যবহার ‍না করায় অপারেশন থিয়েটার কক্ষের ভেতর পড়েছে ধুলা-বালির স্তর। মরিচার পড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে কক্ষের যন্ত্রপাতি।

এছাড়া এক্স-রে মেশিন বছরের অধিকাংশ সময়ই নষ্ট থাকে। ইসিজি কিংবা আলট্রাসনোগ্রামের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে রোগীদের বেশি অর্থ ব্যয় করে বাইরে থেকে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করতে হয়।

সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবার প্রতিদিনকার এ চিত্র পাওয়া যায়।

ধুনট উপজেলার সাড়ে তিন লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গত ২০০৪ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা থেকে ৫০-এ উন্নীত করা হয়। কিন্তু বাড়েনি চিকিৎসাসেবার মান।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি চিকিৎসক, নার্স, যন্ত্রপাতি ওষুধ ও অবকাঠামোর অভাবে খুঁড়িয়ে চলছে। এই হাসপাতালটিতে ২১ জন চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত আছেন ১৩ জন। ১৬ জন নার্সের স্থলে কাজ করছেন ১১ জন। এখানে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও), চক্ষু, চর্ম, যৌন, গাইনি, হৃদরোগ, মেডিসিন ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) নেই।

ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে অপারেশন থিয়েটার কক্ষ তালাবদ্ধ রয়েছে। একদিনের জন্য ব্যবহার করা হয়নি অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি।

এতে করে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। তবে এখানে অপারেশনের জন্য কোনো রোগী আসলে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হয়।  

ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এলাকার সাধারণ রোগীরা চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারি এই হাসপাতালে জরুরি অপারেশন করাতে পারছেন না।

এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গুরুত্বপূর্ণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হয়। অপারেশন থিয়েটারটি বন্ধ থাকায় রোগীদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়।  

তবে জেল‍া সিভিল সার্জনের মাধ্যমে বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক (ডিজি) ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।