কেইস স্টাডি:
রাফি ইদানিংকালে হঠাৎ করেই বেশ অমনোযোগী হয়ে গেছে। সব কাজেই।
অমনোযোগিতা যে মানসিক রোগ হতে পারে এটা অনেকেরই অজানা। শিশুদের অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত তাকে শারিরীক প্রহার করে মনোযোগী হবার জন্য বাধ্য করা হয়। এতে রোগ নির্মূল হয়না। সাময়িকভাবে বন্ধ হয় মাত্র।
লক্ষণ ও উপসর্গ
১. প্রায়ই কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে পারেনা।
২. কাজের মাঝে সহজে নিবিষ্ট হতে পারেনা।
৩. খামখেয়ালির বশে ভুল করা কিংবা কারোর কোন নির্দেশ অনুসরণ করে কিছু করতে সমস্যা হয় বা ঠিক মতো করতে পারেনা।
৪. বেখায়ালি বা ঝোঁকের বশে কাজ করার প্রবণতা।
৫. খুব বেশি কথা বলা এবং অন্যান্যদের কথার মাঝখানে কথা বলে ওঠা।
৬. অতিমাত্রায় কাজ করার চেষ্টা, অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠা এবং কি করছিল সেসব ভুলে যাওয়া, অস্থিরতা, এবং শান্ত পরিস্থিতিতেও উদভ্রান্তের মতো ছটফট করা।
কী করা উচিত
১. আপনি যদি লক্ষ্য করেন, আপনার শিশু অমনোযোগিতায় ভুগছে, সেক্ষেত্রে একজন দক্ষ শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, নিউরোলোজিস্ট, সাইকোলোজিস্ট এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করে তার লক্ষণগুলোর সামগ্রিক বিচার-বিশ্লেষণ করুন।
২. যদি চিকিৎসক বলে যে আপনার বাচ্চা অমনোযোগিতায় আক্রান্ত এবং বিশেষত তিনি যদি বাচ্চার জন্যে মিথাইলফেনাইডেট কিংবা অন্য কোন ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেয় কিংবা উক্ত ডাক্তার যদি শিশু মনোরোগের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য জ্ঞানের অধিকারী না হয় সেক্ষেত্রে ডাক্তারকে অন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থার কথা শুধিয়ে দেখতে পারেন, কিংবা অন্য কোন ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েও দেখতে পারেন।
৩. নিজের বাচ্চাকে জানার চেষ্টা করুন: তার আচরণ এবং ধরন, সখ, কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা এবং অদক্ষতা রয়েছে সেগুলো জানুন। কিছু বাচ্চা রয়েছে যারা অমনোযোগিতায় আক্রান্ত হলে পরিকল্পিত কাজকর্মগুলো তেমন কোন নির্দেশনা ছাড়াই সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে পারে, আবার অন্য বাচ্চারা খুব বেশি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে তেমন সুচারুভাবে কিছুই করতে পারে না।
৪. আপনার নিজেকে এবং আপনার বাচ্চাকে এই রোগ সম্পর্কে অবহিত করুন।
৫. আপনার বাচ্চা নিজের যে কাজকর্মগুলো না করে পারে না সেগুলোর জন্যে তাকে শাস্তি দেবেন না।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
আপনার শিশুটি যদি অতিরিক্ত অমনোযোগী হয় এবং এই সমস্যার জন্য আপনার শিশুর দৈনন্দিন জীবন কিংবা কর্মক্ষেত্র কিংবা স্কুলে সমস্যা দেখা যায়।