ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মেডিকেল প্রশ্ন বহনের ট্রাঙ্কে থাকবে ট্র্যাকিং মেশিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬
মেডিকেল প্রশ্ন বহনের ট্রাঙ্কে থাকবে ট্র্যাকিং মেশিন

ঢাকা: এবার মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন ও বহনে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার মডারেটর ও ওভারসাইট কমিটি পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবে।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সঙ্গে এক আলোচনাসভায় ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন ও নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

আগামী ৭ অক্টোবর দেশব্যাপী ১৮টি মেডিকেল কলেজের ৩৭টি ভেন্যুতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (মেডিকেল শিক্ষা) আব্দুর রশিদ। এ বছরে ৯০ হাজার ৪২৬ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৮৪ হাজার ৪শ জন।

প্রশ্নপত্রের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবার মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ওভারসাইট কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও সাংবাদিকরা রয়েছেন।

তিনি বলেন, এ বছর প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক পুরো বিষয়টির মডারেট করছেন। প্রশ্ন ও উত্তরের হস্তান্তর প্রক্রিয়ার শেষ পর্যন্ত এ মডারেট ও ওভারসাইট টিম কাজ করবে। পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে দূরে থাকবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়।

যেসব ব্যক্তি ছাপানোর প্রক্রিয়ায় থাকবেন, তারা পড়াশোনা জানেন না। এছাড়াও তারা পরের দিন পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট ঘরে থাকবেন। রাতেও সেখানে থাকতে হবে। একই ঘরে খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সব।

প্রশ্ন ও উত্তরপত্র এবার একইসঙ্গে থাকবে। প্রশ্ন তৈরির পর সেখানেই খামে সিলগালা করে আটকানো হবে। প্রশ্ন পরিবহনের সময় যিনি সঙ্গে থাকবেন, কিছুক্ষণ পরপর সিলগালার ছবি তুলে স্মার্টফোনে পাঠাতে হবে। এছাড়া প্রশ্ন বহনের ট্রাঙ্কে বিশেষ ডিভাইসে ট্র্যাকিং করা হবে। নিরাপত্তায় কোনো সমস্যা হলে কেন্দ্রে সিগন্যাল চলে আসবে।

একই সময়ে সব ভেন্যুতে প্রশ্নের তালা খুলবেন একজন নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট। পরীক্ষা শুরুর ১০ মিনিট আগেই সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। ১০ মিনিটের মধ্যে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও সারা দেশের সব সিভিল সার্জন অফিস ও কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ প্রোভাইডারদের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ২ অক্টোবর থেকে ওয়েবসাইটে প্রবেশপত্র ও সিটপ্ল্যান দেওয়া হবে বলে জানান ডা. আজাদ।

সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেন, এবারে সর্বোচ্চ সতর্কতায় প্রশ্ন প্রণয়ন ও সরবরাহ করা হবে। গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৬
এমএন/এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।