ঢাকা: দেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ। প্রতি বছর নতুন করে আরো প্রায় ২ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
মরণঘাতী এ রোগের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন রোগীরা। এতে হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। অথচ দেশেই ক্যান্সার রোগীদের সমন্বিত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।
রোববার (২৭ নভেম্বর) ধানমন্ডির জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে 'জেবিএফএইচ ব্রেস্ট অ্যান্ড স্টমাক ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার' চালু উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সরদার এ নাঈমের সভাপতিত্বে সেন্টারটির উদ্বোধন করেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. এএমএম শরিফুল আলম।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডা. আনিসুর রহমান, প্রফেসর ডা. মো. মিজানুর রহমান, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. জোনাইদ শফিক, সিইও ডা. আরএম সামিউল হাসানসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের সেরা চিকিৎসক ও সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে অত্যাধুনিক এ ক্যান্সার কেয়ার সেন্টারটি স্থাপন করা হয়েছে। ব্রেস্ট ও পাকিস্থলির ক্যান্সার চিকিৎসায় চালু হয়েছে কেমোথেরাপি ইউনিট। সুলভমূল্যে রোগীরা এখানে পাবেন রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপিসহ সুনির্দিষ্ট অন্যান্য পরীক্ষা ও সার্জারির সুযোগ।
অধ্যাপক সরদার এ নাঈম বলেন, ক্যান্সার রোগীরা যতদিন বেঁচে থাকেন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বাঁচেন। দেশের চিকিৎসকরা এক্ষেত্রে সামান্য আন্তরিক হলে রোগীদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হতো না। আমরা ক্যান্সার রোগীদের জন্য আস্থার একটি জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করছি।
প্রফেসর ডা. এএমএম শরিফুল আলম বলেন, 'দূরারোগ্য ক্যান্সার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল। তবে সার্বিক পরিচর্যা ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি লাভের অপর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বজুড়ে। আগে থেকে রোগ নির্ণয় এবং প্রতিরোধ করলে অনেকাংশেই এর ঝুঁকি কমানো যায়। '
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা. জোনাইদ শফিক বলেন, 'জেবিএফএইচ ক্যান্সার সেন্টারটি শুরুতেই রোগ নির্ণয় এবং প্রতিরোধের জন্য রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা দেবে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৬
পিআর/জেডএস