ঢাকা: দেশের বিভিন্ন এলাকায়, পাড়া-মহল্লায় ব্যাঙের ছাতার মতো ফার্মেসি গড়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
প্রয়োজন ছাড়া ফার্মেসির অনুমোদন বাতিল করা হবে।
বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এসব ফার্মেসিতে পেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ বিক্রি হয়। যে যা ওষুধ চায় তাই দেওয়া হয়। এভাবে চলতে পারে না। এসব ফার্মেসি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এটা করতে হলে পদে পদে বাধা রয়েছে। তারপরও আমরা বাড়তি ফার্মেসি বন্ধের জন্যে কাজ শুরু করেছি। ফার্মাসিস্ট ছাড়া কোনো ফার্মেসি চলতে পারে না।
নাসিম বলেন, বিশ্বায়নের যুগে কোনো রোগকে আটকে রাখা কঠিন। আমাদের দেশের মানুষ কাজ করতে বিদেশে যাচ্ছেন। আবার তারা দেশে ফিরলে সঙ্গে করে রোগও বহন করে আনছেন। এভাবেই অনেকে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী এবং তার সন্তানদের মধ্যে এইডসের জীবানু ছড়িয়েছে। অথচ তারা নিষ্পাপ।
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা হবে বলে ঘোষনা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে এনজিওগুলোকেও সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধু কাগজে কলমে নয়, মাঠে যেয়েও কাজ করতে হবে। প্রচার বাড়াতে হবে।
এইডস না ছড়ানোর উপাদান বিনামূল্যে বিতরণ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে নতুন করে এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৮ জন, মারা গেছেন ১৪১ জন। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২২১ জন, মারা গেছেন ৭৯৯ জন।
মন্ত্রী বলেন, আক্রান্ত রক্তের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য রক্ত গ্রহণের বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। যেসব ব্লাড ব্যাংকে যার তার রক্ত গ্রহণ করা হয় সেগুলো বন্ধ করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। এছাড়াও যেসব ক্লিনিকে অপরিষ্কার ও অব্যবস্থাপনায় সেবা দেওয়া হয় সেগুলোও বন্ধ করা হবে।
স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, ন্যাশনাল এইডস এসটিডি প্রোগ্রামের লাইন ডিরেক্টর ডা. আনিসুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওয়াহিদ হোসেন, বিএমএ এর সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সনাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৬/আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা
এমএন/এমজেএফ