ঢাকা: বর্তমানে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে অসংক্রামক রোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এর কারণে দিন দিন মানুষের মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য সচেতনতা এ রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সোমবার (০৫ ডিসেম্বর) সংসদ সচিবালয়ের শপথ কক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্পিকার একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, আমরা সংসদ সদস্যরাও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি। সংসদ সদস্যরা তাদের বিভিন্ন বক্তৃতায় বিষয়গুলো তুলে ধরতে পারেন। এতে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, সংসদ সচিবালয় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ এবং তরুণ তরুণীদের বয়োঃসন্ধিক্ষণের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংসদ সদস্যেদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। এখন ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও তারা অবদান রাখবেন বলে আশা করি, যোগ করেন স্পিকার।
অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট ফোরাম তৈরি করে কাজ করার জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে সংসদের সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড প্রসংসিত হয়েছে। আইপিইউ’র সাথে সম্পাদিত চুক্তির আলোকে ইতোপূর্বে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় আইপিইউ এর সাথে বর্তমানেও এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানান শিরীন শারমিন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক, হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার এম মালেক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদার স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এসএম/এমজেএফ