রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আবারও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৯টার দিকে হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
চিকিৎসাধীন এক প্রসূতির স্বজনদের সঙ্গে হাতাহাতিতে রামেক’র ৫২তম এমবিবিএস’র ছাত্র ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরাগ হোসেনের (২৮) মাথা ফেটে যায়। এর প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
রামেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রামেকের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রসূতি রোগী ইতি খাতুনকে (২০) তার স্বজনরা ভর্তি করেন। সোমবার রাত নয়টার দিকে তাকে দেখতে আসেন ভাই শাহীন ও দুলাভাই মিনারুল ইসলাম মিনি।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরাগ রোগীকে চিকিৎসা দিতে এসে স্বজনদের বাইরে যেতে বললে কথা কাটকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহীন ও মিনির সঙ্গে পরাগের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরাগের মাথা ফেটে গেলে স্বজনরা ইতিকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে।
এ ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাতে মূল ফটক বন্ধ করে তারা দফায় দফায় বিক্ষোভ করছে।
রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ জানান, রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এসএস/এটি