বুধবার (২২ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ তথ্য জানানো হয়।
টিআইবির পক্ষে বলা হয়, বিভিন্ন মহল থেকে দেশের ৮৭ শতাংশ জনগণ নিরাপদ পানি পাচ্ছে বলা হলেও বাস্তবে দেশের অধিকাংশ নাগরিক পানির অভাবে জনস্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে।
পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি বাংলাদেশের পানিখাতে প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ওয়াটার ইন্টেগ্রিটি গ্লোবাল আউটলুক ২০১৬' এর প্রতিবেদন অনুসারে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিনিয়োগকৃত অর্থের ১০ শতাংশ দুর্নীতির কারণে নষ্ট হচ্ছে। যার পরিমাণ প্রায় ৭৫ বিলিয়ন ডলারের সমান।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরো বলা হয়, পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশে আইনি কাঠামো থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কারণে পানি দূষণ কমছে না। বেশিরভাগ বস্ত্র ও পোশাক কারখানায় সরকারে অনুমোদিত মান অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারের কোনো ব্যবস্থা নেই। সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কারখানা মালিকদের অনৈতিক যোগসাজশের ফলে অপরিশোধিত বর্জ্য বিভিন্ন নদীর পানিতে ফেলা হয়। এ সব অসৎ কর্মকর্তা ও মালিকদের বিরুদ্ধেও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া না।
পানি দূষণ ও নিরাপদ পানি জনসাধারণকে পৌঁছে দিতে আইন ও বিধিমালার কঠোর প্রয়োগ ও পানি দূষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জরিমানা আদায় নিশ্চিত করতে হবে। তাছাড়া সরকারকে জবাবদিহিতামূলক ও নাগরিক অংশগ্রহণমূলক কর্মসূচি নিতে হবে।
মানববন্ধনে আরও ছিলেন- টিআইবির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাইদুল ইসলাম, সদস্য শফিকুল ইসলাম ও ইয়েস গ্রুপের সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৭
এমএ/জেডএম