বুধবার (১০ মে) দুপুরে রায়ের বাজার এলাকা থেকে জ্বর ও বমিজনিত অসুস্থতায় আলীকে হাসপাতালটিতে নিয়ে আসার পর অনেকক্ষণ বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
স্বজনরা দাবি করেন, মারাত্মক অসুস্থতার কারণে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে বিনা চিকিৎসায় বেডে ফেলে রাখেন হাসপাতালের নার্সরা।
রোগীর মামা জুয়েল বাংলানিউজকে বলেন, আমার ভাগিনার জ্বর ও বমি হচ্ছিল। দুপুরে রিকশাযোগে বাসা থেকে বাংলাদেশ মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে সেখানে নার্স ও ওয়ার্ড বয় আলীকে দীর্ঘক্ষণ একটি বেডে ফেলে রাখেন।
তিনি বলেন, এখানে গুরুত্ব দিয়ে আমার ভাগিনার চিকিৎসা করা হচ্ছিলো না বলে অন্য হাসপাতালে নিতে চাই, তখন ওয়ার্ড বয় ও নার্স আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করে। তাছাড়া, আমরা জানতে পারি ছুটির দিন হওয়ায় এই হাসপাতালেও তেমন চিকিৎসক ছিলেন না। অবস্থার অবনতি হলে আলীকে আইসিইউতে নেওয়া হলে বিকেল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলীর মৃত্যুর পর তার স্বজনরা হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তারের ওপর চড়াও হন। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি ও হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনে।
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজ বাংলানিউজকে জানান, চিকিৎসাসেবায় অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে— এমন অভিযোগে হাসপাতালে একটু ঝামেলা হয়েছিলো। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
ঘটনার সমাধানে রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে পুলিশ আলোচনা করছে বলে জানা গেছে।
শিশু আলীর বাবার নাম মো. উজ্জল। তিনি ঢাকায় প্রিন্টিং প্রেস সাপ্লাইয়ার হিসেবে কাজ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৭
এসজেএ/এইচএ