অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলায় যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
কোনো কোনো চিকিৎসক ছুটি ছাড়াই মেডিকেল সেন্টারে অনুপস্থিত থাকেন বলে জানা গেছে।
রোববার (১৪ মে) বিকেলে মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন এক শিক্ষার্থী।
তিনি জানান, সিরিয়াল পেতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কুপনের জন্য প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর কুপন পান তিনি। কিন্তু কুপন নিয়ে চিকিৎসকের রুমে গিয়ে ফিরে আসতে হয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থীকে।
তিনি আরো জানান, কুপনে চিকিৎসকের নাম থাকলেও নির্ধারিত কক্ষে গিয়ে দেখেন তিনি নেই। ফলে চিকিৎসা না পেয়েই ফিরে যেতে হয় তাকে। এছাড়া চিকিৎসক থাকলেও সমস্যা ঠিকমতো না শুনেই ওষুধ লিখে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। মেডিকেল সেন্টারে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে।
মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, মেডিকেল সেন্টারের গেটে অবস্থিত দু’টি ডিজিটাল মেশিনের একটি অকেজো। এদিকে, নোটিশ বোর্ডে দুপুর ২টার পর চারজন চিকিৎসকের চিকিৎসা দেয়ার সিডিউল থাকলেও চিকিৎসা দিচ্ছেন দু’জন। বাকিদের কক্ষ তালাবদ্ধ। দু’জনের যে একজন চিকিৎসক চিকিৎসা দিচ্ছেন তার কক্ষে অবস্থিত কম্পিউটারটিও অকেজো। ফলে চিকিৎসা দিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাকেও।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেডিকেল সেন্টারে দুই শিফটে ভাগ করে চিকিৎসা সেবা দেয়ায় সকালের শিফট মোটামুটি ভালো চলে। কিন্তু বিকেলে মেলে না প্রাথমিক চিকিৎসাও। বিকেলে দ্বিতীয় শিফটের চিকিৎসকরা বেশিরভাগ সময়ই থাকেন না।
মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকদের শিডিউল বোর্ড অনুযায়ী রোববার (১৪ মে) দ্বিতীয় শিফটে দায়িত্ব থাকার কথা ছিল ডা. নূর মহল বেগম, ডা. আফম জাহিদ হাসান, ডা. সাজিদ হাফিজ ও ডা. সলিল রঞ্জন সমাদ্দারের। তবে ওইদিন বিকেলে তাদের মধ্যে শুধু জরুরি বিভাগের ডা. সলিল রঞ্জন সমাদ্দার ছিলেন। বাকি তিনজন অনুপস্থিত। তাদের অনুপস্থিতির কারণ জানতে এই তিনজনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসক ডা. তবিবুর রহমান শেখ বাংলানিউজকে বলেন, আমি বাইরে আছি। অফিসে গিয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেবো।
তিনি আরো জানান, অকেজো ডিজিটাল মেশিন শিগগিরই ঠিক করা হবে। আর চিকিৎসক না থাকার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
এসআই