সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা, গভীর রাত পর্যন্ত নগরীর বাস, ট্রাক, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও ট্রেনের অনিয়ন্ত্রিত শব্দদূষণ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে এখানে। ফলে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা বিভিন্ন ধরনের অসুখে ভুগছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটি।
আইন মানছেন না চালকরা, বিপাকে শিশুরা
রেলক্রসিংয়ের কাছে হওয়ায় ট্রেনের শব্দই শুধু নয়, বিকট ভেঁপুও কানো তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীদের। অতর্কিত ভেঁপুতে আঁতকে ওঠে শিক্ষার্থীরা। স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমও দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে এতে।
শাহ্ নুরী মডেল হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহ আলম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কোনো ধরনের সমস্যা নাই। একমাত্র সমস্যা শব্দদূষণ। ট্রেনের বিকট শব্দে বাচ্চারা আঁতকে ওঠে। তারা ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারে না। তবে সবচেয়ে বেশী পিলে চমকে দেয় ট্রেনের হুইসেল। ট্রেনের শব্দ থেকে বাঁচতে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ মিটিংও করেছি। আমরা বাংলাদেশ রেলওয়েতে অভিযোগ দেবো, যাতে ট্রেনগুলো স্কুলের সামনে হুইসেল না বাজায়।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুস সাদাত শব্দদূষণের সমস্যা তুলে ধরে বাংলানিউজকে বলে, ক্লাস-পরীক্ষার সময় অনেক সমস্যা হয়। যখন হর্ন বাজে, পড়ালেখায় মনোযোগ থাকে না। প্রাইভেটকার-বাস অকারণে সব সময় হর্ন বাজাতে থাকে। তবে ট্রেনের সমস্যা সব থেকে বেশী হয়। যখন ট্রেনের হর্ন বাজে, তখন আমাদের কানে হাত দিয়ে বসে থাকতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৭
এমআইএস/জেডএম