পল্লবের চিকিৎসার সব দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন।
পরিবার বলছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কার্যক্রম ও দ্রুত ব্যবস্থপনায় তারা খুব সন্তুষ্ট।
জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুটির এই রোগ ভোগান্তির কারণ অপচিকিৎসা। বিভিন্ন সময়ে মূল চিকিৎসা না করিয়ে কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা এবং অনিয়মিত হোমিও পথ্য খাওয়ানোয় সমস্যা আরও বেড়েছে।
হাসপাতালে ইতোমধ্যেই সিভিল সার্জন ডা. রওশন আরা খানমের সুপারিশক্রমে পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বিশেষ বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
প্রাথমিকভাবে বিশেষজ্ঞ দল পল্লবের রোগটিকে ‘কনজেনিটাল ইকথায়োসিস’ হিসেবে ডায়াগনোসিস করেছেন। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। রোগটি জটিল তবে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিশুটির পুষ্টিহীনতা সবার আগে দূর করা প্রয়োজন। সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা নজর রাখছেন।
গত ৪ আগস্ট বিরোলরোগে পল্লব শিরোনামে শিশুটিকে নিয়ে বাংলানিউজে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই স্বাস্থ্য অধিদফতর এগিয়ে আসে।
পল্লবের মা শ্রীমতি প্রার্থনা রানী জানান, গরমকালে শুধু ফাটা ফাটা ফোসকা ও শীতকালে ফোসকার সঙ্গে আঠালযুক্ত পানি পড়ে শরীর থেকে। রোগের জ্বালা-যন্ত্রণায় সে সবসময় কান্নাকাটি ও ছটফট করে। বন্ধ থাকে তার চোখ-মুখ, তখন চোখ দিয়ে কেবলই পানি পড়তে থাকে। এতে ঠিক মতো খেতেও পারে না শিশুটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭
আইএ