মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. সানোয়ার হোসেন এর সাথে তার অফিস কক্ষে কথা হয় বাংলানিউজের।
তিনি জানান, যন্ত্রটির নাম পেট সিটি স্ক্যানিং।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেশিনটি কেনার সকল প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছেন ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স। এখন রুম গোছগাছ করছে নিউক্লিয়ার বিভাগ। সবকিছু ঠিক থাকলে হয়ত দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে রোগীরা এর সুফল পেতে শুরু করবে।
ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স বাংলাদেশ সর্ব প্রথম ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সারাদেশে ১৫টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্স তাদের কার্যক্রম চালু রেখেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়ে থাকে।
ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিউক্লিয়ার ইমেজিং(যেমন রেনোগ্রাম, কিডনি স্ক্যান, কার্ডিয়াক স্ক্যান, হেপাটোবিলিয়ারি স্ক্যান, ব্রেইন স্ক্যান, লিভার স্ক্যান, বোন স্ক্যান, থাইরয়েড স্ক্যান, থাইরয়েড আপটেক), হরমোন এনালাইসিস, বোন ডেনসিট্রোমেট্রি, অলট্রাসনোগ্রাফি, কালার ডপলার আলট্রাসাউন্ড ইত্যাদি রোগ নির্ণয় পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এছাড়া থাইরয়েডের গ্রন্থির ক্যান্সার, হাইপারথাইরয়ডিজম বা থাইরোটক্সিকোসিস, হাইপোথাইরয়ডিজম, আইডিডি, চোখের ক্যান্সার, নখের ছত্রাক, বাত ও বাতজাতীয় জয়েন্ট পেইন ইত্যাদি জটিল রোগের চিকিৎসাসহ বোন পেইন প্যলিয়েটিভ থেরাপি সরকার নির্ধারিত মূল্যে করা হয়ে থাকে।
১৯৬১ সালের শেষের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে রেডিও আইসোটোপ সেন্টার নামে একটি সাধারণ টিনসেড ভবনে ছোট পরিসরে পরমাণু চিকিৎসা ও আলট্রাসাউন্ড কেন্দ্র যাত্রা শুরু করে। যা পরবর্তীতে ১১তলা বিশিষ্ট নিউক্লিয়ার মেডিসিন ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে। দেশের ১৫টি নিউক্লিয়ার মেডিসিন স্থাপনার মধ্যে এটি একটি ব্যস্ততম চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র।
ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সে ২০০৭ সালে পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন। তার তত্ত্বাবধানে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য আধুনিক কালার ড্রপার আলট্রাসাউন্ড স্থাপন, বিভিন্ন ধরনের হরমোন পরীক্ষার জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও পুরো ভবনটি সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এখানে প্রচুর থাইরয়েডের রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সে প্রতিদিন ২০০ এরও বেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে।
এখানে তৌফা-তহুরার আলট্রা সাউন্ড করা হয়েছিল, এছাড়া মায়ের গর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়াসহ অনেক জটিল রোগীর চিকিৎসা সেবা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানতে চাইলে ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সের পরিচালক অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নিউক্লিয়ার মেডিসিন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমরা জনগণকে সেবা দিতে চাই। ভবিষ্যতে এই সেবা যাতে আরো উন্নত করতে পারি সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
রোগীদের চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করা এবং উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
এজেডএস/জেডএম