সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ ক্যান্সার। ক্যান্সার তুলনামূলক একটি ভীতিকর রোগ।
ক্যান্সারের কারণে সারা বিশ্বে প্রায় ৮ কোটি মানুষের মতো মারা যায়। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ ক্যান্সার ফাউন্ডেশন, সোসাইটিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। শোভাযাত্রা, পোস্টার, ফেস্টুন প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, ক্যান্সাররোগী ও সারভাইবারদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় দিবসটিকে কেন্দ্র করে।
যে কারো, যে কোনো বয়সে, যে কোনো সময়ে রোগটি হতে পারে। তবে কিছুটা সচেতনতা আর নিয়মানুবর্তিতা আমাদের এ রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
যেসব ধরনের খাবার খেলে এ রোগ হয়, আমাদের সেসব খাবার থেকে পুরোপুরি দূরে থাকা উচিত। সঙ্গে যেসব খাবার আমাদের নিয়মিত খাওয়া উচিত, সেসব খাবার নিয়ম করে খাওয়া দরকার। আর এ দু’টি কাজ করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থেকে দূরে থাকা সম্ভব। ক্যান্সার অনেক ধরনের। হয়তো আমাদের সব ধরনের ক্যান্সার সম্পর্কে ধারণা নেই। আমাদের আশেপাশে করো মধ্যে যেকোনো রকমের ক্যান্সারের লক্ষণ থাকলে আমরা সহজে বুঝতে পারবো না। রোগটি সামান্য পর্যায় থেকে গুরুতর পর্যায়ে চলে যাবে। তাই সবার উচিত ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান রাখা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি প্রফেসর ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ দিবসকে সামনে রেখে বলেন, ক্যান্সার কঠিন ব্যাধি। শুরুতেই চিহ্নিত করা গেলে ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব। জন্মগত ক্যান্সার রোগীদেরও নিরাময় করা যায়। সরকারের পক্ষ থেকে এ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্তন ও জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। অবশ্য এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধিরও দরকার রয়েছে। মিডিয়াসহ সবার সহযোগিতা ও যোগাযোগ বৃদ্ধি করা দরকার।
দেশের মধ্যে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইএনটি অ্যান্ড হেড নেক ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউট, আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল, ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল, এনাম মেডিকেল, ডেল্টা হাসপাতালসহ বেশ কিছু হাসপাতালে চলছে ক্যান্সারের চিকিৎসা। পাশাপাশি বেশ কিছু মানুষ কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, ব্যাংকক, সিংগাপুরসহ বিভিন্ন জায়গায় ছুটছেন। তবে যে যেখানেই চিকিৎসা করুক সঠিক সময়ে সঠিক সনাক্তকরণ ও যথাযথ চিকিৎসা দেওয়াই মূল বিষয়।
শরীরে যেকোনো সমস্যা অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেওয়া, ক্যান্সারের লক্ষণ নিয়ে পড়াশোনা করে জানা, বিশেষজ্ঞ পরামর্শ অনুযায়ী পরিবারের সুষম খাদ্য নিশ্চিত করা, কোনোভাবেই এসব দায়িত্ব এড়ালে চলবে না। আসুন সবাই মিলে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি, আর সমাজ থেকে রোগটিকে নির্মূলের সর্বাত্মক চেষ্টা করি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
জেডএস