ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

প্রয়োজন মান নিয়ন্ত্রণ

মাসুদ আজীম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৮
প্রয়োজন মান নিয়ন্ত্রণ প্রর্দশনীতে অংশ নেওয়া একটি প্রজেক্ট/ ছবি- শাকিল

ঢাকা: ওষুধ তৈরিতে রাসায়নিক পদার্থ মুখ্য উপাদান। কিছু কিছু রাসায়নিক উপাদান আসে সরাসরি উদ্ভিদ থেকে, আবার কিছু কিছু আসে রাসায়নিক পদার্থের যৌগ উপাদানের মাধ্যমে। ওষুধ প্রস্তুতের কাজে এ যৌগ উপাদানগুলোকে ব্যবহার করতে গেলে সর্বপ্রথমে দরকার মান নিয়ন্ত্রণ। তাই প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল যন্ত্রপাতির।

শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলমান দশম এশিয়া ফার্মা এক্সপো-২০১৮ তে দেখা যায় উন্নতমানের এসব রাসায়নিক পদার্থ ও তার মান নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত সব আধুনিক যন্ত্রপাতি।

সাধারণত ওষুধ তৈরির কাঁচামাল বা অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) ও অন্যান্য সহযোগী রাসায়নিক পদার্থগুলোকে (এক্সিপিয়েন্টস) ব্যবহার করার আগে, ব্যবহারের সময় ও উৎপাদিত পণ্যকে বারবার পরীক্ষা করা হয়।

কেননা যেকোনো সময় যেকোনো বাহ্যিক পদার্থের মিশ্রণের ফলে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত বিক্রিয়া। আর তাতেই ওষুধের ক্রিয়া নষ্ট হওয়াসহ বিষাক্ততাও সৃষ্টি হতে পারে। যা ঘটাতে পারে মানুষের মৃত্যুসহ অন্যান্য ব্যাধি।

আইসিসিবিতে চলমান প্রদর্শনীটির ২ নম্বর হলে দেখা যায় ‘কোনেল ব্রোস’ নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের উন্নতমানের সব রাসায়নিক পদার্থের সমাহার। প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সাফিনাজ সারোয়ার বাংলানিউজকে জানান, আমরা ওষুধ কোম্পানিগুলোতে এমসিসি (মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ), স্টার্চ, ল্যাকটোজ, ইনহ্যালেশন ও সুপার ডিসিন্টিগ্রেন্টস সরবরাহ করে থাকি। এর সবগুলোই এক্সিপিয়েন্টস এবং যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পদার্থ। এগুলোকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করাটাও অনেক ব্যয়বহুল। আর আমাদের এসব পণ্যের ব্যবহারের বহুমুখিতা অনেক বেশি। তাই আমরা বাজারে শীর্ষস্থান দখল করে আছি।

এদিকে একই হলে ‘ক্রোম ওয়ার্ল্ডে’র স্টলে দেখা যায় ওষুধ ও এসব রাসায়নিক পদার্থের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি। কোম্পানিটির সেলস এক্সিকিউটিভ আরিফ বলেন, আমাদের পণ্যের মধ্যে অত্যাধুনিক ডিসোলিউশন এপারেটাস, গ্যাস ক্রোমাটোগ্রাফি, লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি, স্পেক্টোমিটার, ইউভি মেশিন, বিভিন্ন ধরনের মাইক্রোস্কোপ, এইচপিএলসিসহ অন্যান্য মেশিনারিজ রয়েছে। আমরা জার্মানি, ইতালি, কোরিয়া ও জাপান থেকেই বেশিরভাগ পণ্য আমদানি করি। যার গুণগত মান অনেক ভালো।

তিনি আরও বলেন, মেলা উপলক্ষে আমাদের নতুন পণ্য হচ্ছে আধুনিক লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি মেশিন। এই মেশিনটা বাংলাদেশেও নতুন। আগে যেটা ব্যবহৃত হতো সেটা অনেক বড় এবং এরকম কম্পিউটারাইজড ছিলো না। আলাদা কম্পিউটারের প্রয়োজন হতো। কিন্তু এটার সব কিছুই নিজস্ব এবং ভালো ও দ্রুত ফলাফল প্রদান করে।

প্রদর্শনীটিতে এমন সব পণ্যের উপস্থিতির জন্যই দর্শকদের আকৃষ্ট করছে অনেক বেশি। তাদের মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যালসে কর্মরত মানুষের সংখ্যাই বেশি।

ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির মান নিয়ন্ত্রণ শাখায় কর্মরত ফার্মাসিস্ট আকবর আলী বাংলানিউজকে জানান, এ মেলা আমাদেরকে অনেক নতুন কিছুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। যার মাধ্যমে আমাদের দেশের ফার্মাসিউটিক্যালসগুলোর ওষুধের মান দিন দিন উন্নত করছে। আমি নতুন এইচপিএলসি মেশিন দেখতে এসেছিলাম। পেয়েছি প্রয়োজন অনুসারে। এখন অফিসে ডিমান্ড দেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এমএএম/জেডএস            

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।