গবেষকরা জানান, দুই বছরের জন্য দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের হার ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনলে মানুষের পরিপাক ক্রিয়াও ধীরগতি লাভ করে। এর ফলে দেহের শক্তি অপচয় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস পায়।
গবেষকরা ৫৩ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের উপর ক্যালোরির প্রভাব পরীক্ষা করেন। এদের প্রথমে দুই দলে ভাগ করা হয়। একদলকে স্বাভাবিক পরিমাণের ক্যালোরি গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়, অপর দলের জন্য ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা নির্দিষ্ট করে দেন গবেষকরা।
দুই বছর পর তাদের পরীক্ষাগারে হাজির করা হয়। দেখা যায়, যারা ক্যালোরি কম গ্রহণ করেছেন তারা গড়ে ২০ পাউন্ড করে ওজন হারিয়েছেন। তাছাড়া স্বাভাবিকের তুলনায় তারা দৈনিক ৮০ থেকে ১২০ ক্যালোরি কম খরচ করছেন।
গবেষকদের মতে, ধীরগতির পরিপাকক্রিয়ার কারণেই অন্যদের তুলনায় কার্যকরী উপায়ে তারা ক্যালোরি খরচ করতে পারছেন। পাশাপাশি তাদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের হার কমে গেছে।
গত দু’বছরে তাদের মধ্যে হজম সংক্রান্ত রোগ কম দেখা দিয়েছে। রক্তস্বল্পতা বা হাড়ের ক্ষয়রোগও দেখা দেয়নি কারো। নারীদের মধ্যে মাসিকের তেমন কোনো অস্বাভাবিকতা ঘটেনি।
গবেষকরা বলেন, তুলনামূলক কম ক্যালোরি গ্রহণ মানুষের মধ্যে রোগ-ব্যাধির ঝুঁকি কমিয়েছে এটা সত্যি, কিন্তু মাত্র দুই বছরে প্রাপ্ত তথ্য এ সিদ্ধন্তে পৌঁছানোর জন্য যথেষ্ট নয়। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও অনেক গবেষণার প্রয়োজন।
ক্যালোরি গ্রহণের সঙ্গে মানুষের আয়ুর সম্পর্ক বিষয়ক গবেষণাটি পরিচালনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা। ‘সেল মেটানোলিজম’ শীর্ষক গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করে জার্নাল ‘সায়েন্স ডাইরেক্ট’।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
এনএইচটি/এএ