ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

অপুষ্টিতে ভুগছে দেশের আড়াই কোটি শিশু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
অপুষ্টিতে ভুগছে দেশের আড়াই কোটি শিশু অলোচনা সভা

সাতক্ষীরা: দেশের আড়াই কোটি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশই কন্যা শিশু। ৩৫ শতাংশ শিশু কম ওজন বিশিষ্ট। এছাড়া অটিস্টিক শিশুও জন্ম নিচ্ছে। আর ৪০ শতাংশ নারী ভুগছেন রক্ত স্বল্পতায়।

খাদ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে সাতক্ষীরায় আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং ইউনিসেফের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সভায় বলা হয়, দেশে দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ হিসেবে প্রায় চার কোটি মানুষ দরিদ্র। গড় হিসেবে দেশের মানুষ এখনও দৈনিক চাহিদা অনুযায়ী দুই হাজার ১২২ কিলো ক্যালরি খাদ্য পায় না।

‘খাদ্য অধিকার প্রচারাভিযান’ শীর্ষক এ সভায় আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, এখন দেশে ভেজাল ও বিষমুক্ত খাদ্য মিলছে না। চালে বিষ, আমেও, মাছে বিষ, সবজিতে বিষ, দুধে, খাদ্যে ভেজাল ধরা পড়ছে। দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই, কিন্তু খাদ্য হয়ে উঠছে অখাদ্য ও স্বাস্থ্যহানিকর। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ ভেজালমুক্ত ও বিষমুক্ত খাদ্যের সহজলভ্যতা হ্রাস পেয়েছে। একইভাবে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ চাহিদা মতো খাদ্য পাচ্ছে না।

আলোচনা সভায় খাদ্য অধিকার সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি মরিয়ম মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাধব দত্তের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।

আলোচনায় অংশ নেন- শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম, অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী, জাসদ নেতা সুধাংশু শেখর সরকার, ফরিদা আক্তার বিউটি, মনিরুজ্জামান, নাজমুন আলম মুন্না প্রমুখ।

বক্তারা আরও বলেন, খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হলে দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। বাল্যবিয়ে বন্ধ এবং যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই বহুবিবাহ ও জনসংখ্যা বিস্ফোরণ রোধ করতে হবে। তাছাড়া নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে হবে।

ভেজাল ও বিষমুক্ত পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন এবং তা গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তারা আরও বলেন,  গুঁড়ো দুধ আমদানি হ্রাস করে শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধ ব্যবহার বাড়াতে হবে। দুর্যোগকালে মা ও শিশুর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। গর্ভবতী মায়ের স্বাভাবিক প্রসবের ওপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।