বৃহস্পতিবার (০২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক উদারাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি') মহাখালীর প্রধান কার্যালয়ে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সেপ্টেম্বর ২০১৭-তে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার শুরুর দিকে আইসিডিডিআর,বি, বাংলাদেশ সরকার ও অন্য কয়েকটি সংস্থা মিলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যঝুঁকি নিরূপণ করে।
সম্প্রতি ঢাকায়ও ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছিল। এ বছরের মার্চ থেকে মে সময়কালে আইসিডিডিআর,বি-তে ৫৫ হাজার ২২২ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়। যা ২০০৭ সালের পর গড়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী এবং সাধারণ ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি। কিন্তু আইসিডিডিআর,বি ঢাকা হাসপাতালের কর্মীরা এর 'কোনো রোগীকে ফিরিয়ে না দেওয়ার' আদর্শে অবিচল থাকেন। তারা বাড়তি সময় কাজ করেও উচ্চ মানসম্পন্ন চিকিৎসাসেবা বজায় রাখেন।
অনুষ্ঠানে আইসিডিডিআর,বি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক জন ডি ক্লেমেন্স তার বক্তব্যে বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয় এবং ঢাকায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কর্মপালনে আত্মবিশ্বাসী, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও কার্যকরী অবদানের জন্য আমাদের ২০ জন কর্মীকে স্বীকৃতি দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান আইসিডিডিআর,বি'র উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।
তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টিকা দান কার্যক্রমে জড়িত ও ঢাকায় ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় জড়িত ব্যক্তিদের কাজের প্রশংসা করেন।
স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ অবদানের জন্য আইসিডিডির,বি'র যেসব কর্মীরা পুরস্কৃত হয়েছেন তারা হলেন- রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্ষেত্রে ডা. আশরাফুল ইসলাম খান, ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, ডা. তাজুল ইসলাম বারী, ফাহিমা চৌধুরী, শাহ আলম সিদ্দিকী, ডা. মো. তৌফিকুল ইসলাম, মো. আসাদুজ্জামান, মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান খান, তাপস পাল, মো. মিজানুর রহমান।
রাজধানীতে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে অবদান রাখা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- ডা. শোয়েব বিন ইসলাম, ডা. মো. মারজান কবীর, ডা. রুমানা শারমিন, নার্স- জান্নাতুন নাহার, রুশান আলম, মৌসুমী আক্তার, রেবেকা সুলতানা, স্বাস্থ্যকর্মী হালিমা বেগম, রোকেয়া ও মো আবুল কাশেম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ৩০১৮
এমএএম/এএ