খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নবজাতকদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটিতে রয়েছে ১৩ শয্যার স্ক্যানো ইউনিট। এতে এক মাস বয়সী পর্যন্ত অসুস্থ শিশুদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রাখার কথা।
সম্প্রতি বানিয়াচংয়ের শিক্ষানবিশ আইনজীবী দিদারুল আলম সৌরভ তার নবজাতককে ভর্তি করেন সদর হাসপাতালে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তার সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে ক্লিনিকের চিকিৎসকরা গ্যাস দেওয়ার জন্য তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সেখানে নিয়ে গেলে ঘণ্টা তিনেক রাখার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শিশুসন্তানকে গভীর রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানোর পরামর্শ দেয়। আড়াই ঘণ্টার রাস্তা পাড়ি দিয়ে সিলেটে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান, এইটুকু অসুস্থতার জন্য এখানে আসার প্রয়োজন ছিল না।
জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হিলালপুর গ্রামের তোহেল মিয়া বাংলানিউজকে জানান, তার শিশুসন্তানের সর্দি-কাশি দেখা দিলে তিনি হবিগঞ্জ ইউনাইটেড শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ডা. জিয়াউর রহমানের কাছে যান। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে। নবজাতককে দু’দিন ওয়ার্ডে রেখে পাঠানো হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর শিশুটির মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গত দু’দিন অবহেলার কারণে নবজাতকটির অসুখ জটিল হয়ে পড়ে। শুরুতেই ভালো চিকিৎসা করা হলে অথবা সিলেটে রেফার করা হলে নবজাতকটি হয়তো বেঁচে যেতো। প্রায়ই এ ধরনের অবহেলায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ করে একাধিক ভুক্তভোগী।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রতীন্দ্র চন্দ্র দেব বাংলানিউজকে বলেন, এখানে স্ক্যানো ইউনিটসহ রয়েছেন ডা. আশরাফ উদ্দিন এবং কায়সার রহমান নামে দু’জন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। জন্মের পর নবজাতক দুর্বল, দিন পূর্ণ হওয়ার আগে জন্ম, জন্ডিসসহ বিভিন্ন জটিল অসুখ দেখা দিলে রাখা হয় স্ক্যানো ইউনিটে। বিশেষ করে কমদিনের নবজাতকদের সঠিক তাপমাত্রার জন্য ব্যবহার করা হয় স্ক্যানো ইউনিট।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৮
এসআরএস