ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ৬ চ্যালেঞ্জ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৮
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে ৬ চ্যালেঞ্জ গোলটেবিল বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমসহ অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশে যক্ষ্মা একটি অন্যতম মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বের যে ৩০টি দেশে যক্ষ্মা রোগী সর্বাধিক তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।

আমাদের দেশে পূর্বাবস্থা থেকে রোগটি নিয়ন্ত্রণে এলেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে হলে আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন।
 
এ লক্ষ্যে তারা ছয়টি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সুপারিশ রেখেছেন।

 

চ্যালেঞ্জগুলো হলো- শনাক্ত না হওয়া যক্ষ্মা রোগী সেবার আওতায় না আসা, প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব, তৃণমূল পর্যায়ে সর্বাধুনিক ডায়াগনস্টিক (রোগ নির্ণয়) ব্যবস্থার সুযোগ না থাকা, নগরে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ, এই রোগ নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি চিকিৎসকদের কম সম্পৃক্ততা ও যক্ষ্মা সনাক্তকরণ বাধ্যতামূলক না হওয়া।
 
সোমবার (০৬ আগস্ট) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাফল্য ও প্রতিবন্ধকতা; আসন্ন জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের সভার জাতীয় অঙ্গীকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব তথ্য দেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর, দৈনিক ইত্তেফাক ও ব্র্যাকের যৌথ আয়োজনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, অনেক মারাত্মক রোগের ক্ষেত্রে আমরা সফলতা অর্জন করেছি। আর কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পার্শ্ববর্তীরা তুলনামূলকভাবে উন্নত দেশ ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে আমরা স্বাস্থ্যখাতে অনেক এগিয়ে আছি। তবে যক্ষ্মা রোগের ক্ষেত্রে আমাদের এখন সর্বস্তরের সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু করতে হবে। যা আমরা করছিও। যাতে মানুষ এই রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে এগিয়ে আসে।

ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম, ন্যাশনাল অ্যান্টি টিউবারকিউলোসিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নাটাব) প্রেসিডেন্ট মোজাফফর হোসেন পল্টু, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিসেস প্রোগ্রামের পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির কো-অর্ডিনেটির ডা. রুপালী শিশির বানু, ব্র্যাকের টিবি কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ম্যানেজার সরদার মুনিম ইবনে মহসিন প্রমুখ।
 
এ বিষয়ে ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিসেস প্রোগ্রামের পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, আমাদের রোগ নির্ণয়ের উপায় বা সে কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রগুলো অনেক পুরোনো। এ রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকা অবশ্য কর্তব্য। যদিও এ সরকার ১৯৩টি জিন এক্সপার্ট মেশিন ও ৬০টি এলইডি মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করা শুরু করেছে। কিন্তু তা এই বিশাল জনসংখ্যার বিপরীতে খুবই অপ্রতুল। আমাদের কাছে কোনো নতুন ওষুধ নেই। আমরা পুরোনো আমলের ভ্যাক্সিন ও ওষুধ নিয়েই আছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৮
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।