শনিবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলার চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ‘ইমার্জেন্সি প্যাড কর্ণার’ উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার অসীম কুমার।
ডোনেট এ প্যাড ফর হাইজিং বাংলাদেশ ও বজ্রমুষ্ঠি ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ ইমার্জেন্সি প্যাড কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসাহাক আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- চাটমোহর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজর গোলাম মোস্তফা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রেজাউল করিম, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সভাপতি রকিবুর রহমান টুকুন, পৌর কাউন্সিল নুর-ই হাসান খান ময়না এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক লাবনী পাল।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স্কুলের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য তরুণ কুমার পাল, শামীম হাসান মিলন, হোসনে আরা হাসি, বজ্রমুষ্ঠি ফাউন্ডেশনের সভাপতি রাজেন কুমার কুন্ডু, চাটমোহর উপজেলা শাখার সভাপতি রনি রায়সহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে পিরিয়ড ও বয়ঃসন্ধিকাল সংক্রান্ত সমস্যা ও সমাধান বিষয়ের ওপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। পরে স্কুল চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ডোনেট এ প্যাড ফর হাইজিং বাংলাদেশের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মার্জিয়া প্রভা।
উদ্যোক্তরা জানান, স্কুলে গিয়ে হঠাৎ করে পিরিয়ড শুরু হলে বিপাকে পড়ে ছাত্রীরা। তারা সহপাঠি ও শিক্ষককে বলতেও সংকোচবোধ করে। এখন থেকে স্কুলের একটি নির্ধারিত স্থানে থাকবে ইমার্জেন্সি প্যাড কর্ণার। সেখান থেকে সহজেই ছাত্রীরা প্যাড ব্যবহার করে সেই সমস্যা থেকে সমাধান পাবে। আর ছাত্রীরা প্যাড কর্ণারে পাঁচ টাকা করে রাখবে। জমানো টাকা দিয়ে পরবর্তীতে যাতে তারা নিজেরাই প্যাড কিনে রাখতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের অষ্টম ও নবম শ্রেণির বেশ কয়েকজন ছাত্রী বাংলানিউজকে জানায়, স্কুলে এসে হঠাৎ করেই যদি পিরিয়ড শুরু হয় তখন বিপাকে পড়তে হয়। কাউকে জানাতে লজ্জা ও সংকোচবোধ হয়। শরীরের মধ্যেও অস্বস্তি লাগে। স্কুলের টয়লেট বা বাথরুমের পাশে স্থাপন করা এই প্যাড কর্ণার তাদের খুব উপকারে আসবে। এখন আর লজ্জা বা সংকোচ হওয়ার কোনো ভয় নেই। প্যাড কর্ণার পেয়ে অনেক উচ্ছসিত ছাত্রীরা।
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসাহাক আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো ও সুন্দর উদ্যোগ। এমন সৃজনশীল চিন্তা আমাদের মাথায় আসেনি। আমরা উদ্যোক্তাদের সাধুবাদ জানাই। আমি মনে করি এই ইমার্জেন্সি প্যাড কর্ণার প্রতিটি স্কুল-কলেজে চালু হওয়া উচিত। তাহলে মেয়েরা অন্তত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পিরিয়ডের সমস্যা থেকে সুরক্ষিত থাকবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৮
জিপি