মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে ‘গাইডলাইন ফর রেজিস্ট্রেশন অব বায়োসিমিলার প্রোডাক্টস-২০১৮’ শীর্ষক নির্দেশিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
মন্ত্রী বলেন, দেশে লাইসেন্সবিহীন অনেক কোম্পানি ওষুধ তৈরি করছে।
ওষুধ প্রশাসনে জনবলের সমস্যার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সমস্যা সবসময়ই আছে। ২২৬ জনকে ওষুধ প্রশাসনে নিয়োগ করা হলে কাজের গতি বাড়বে। এ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হবে। একসময় দেশে ওষুধ আমদানি হতো, এখন ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে ওষুধ রপ্তানি হয়৷
এসময় তিনি আগামী নির্বাচনে ওষুধ শিল্প সমিতিসহ সবার সার্বিক সহযোগিতা চান৷
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাইভেট সেক্টর উন্নয়ন বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আক্তার হোসেন প্রমুখ৷
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক এবিএম ফারুক বলেন, শুধু ফার্মাকোভিজিল্যান্স নয়, এরসঙ্গে ওষুধের মানের দিকটিও বজায় রাখতে হবে৷
বক্তারা জানান, ওষুধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য বর্তমানে ৫০টি হাসপাতাল ও ৫০টি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিকে ফার্মাকোভিজিল্যান্স কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। প্রায় ৬০০ চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্টদের ফার্মাকোভিজিল্যান্স কার্যক্রম ও রিপোর্টিংয়ের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ওষুধের নিরাপদ এবং যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে চালু হয়েছে ফার্মাকোভিজিল্যান্স এবং প্রণয়ন করা হয়েছে ন্যাশনাল গাইডলাইন অন ফার্মাকোভিজিল্যান্স সিস্টেম ইন বাংলাদেশ৷
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এমএএম/এনএইচটি