মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে যশোরের সিভিল সার্জন দিলিপ কুমার রায়ের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা ওই ক্লিনিকে অভিযান চালান। এ সময় ক্লিনিকে বিভিন্ন অসঙ্গতি দেখে তাৎক্ষণিকভাবে ক্লিনিকের সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়ে মূল ফটকে সিলগালা করে দেন তারা।
অভিযানকালে ক্লিনিকটিতে ভর্তি থাকা আটজন রোগীকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) গোলাম রাব্বানী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমএম মাহমুদুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুরুল মুর্শিদ এবং অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন নার্গিস আরা।
ভুক্তভোগী রোগীদের স্বজন ও স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ক্লিনিকটির মালিক ডা. আবদুল গফ্ফার ভুয়া ডিগ্রিধারী নার্স ও চিকিৎসক রেখে ক্লিনিক পরিচালনা করেন। এছাড়া তিনি যেসব নার্স ও চিকিৎসক ওই ক্লিনিকে দায়িত্বপালন করেন জানিয়ে স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে ক্লিনিক পরিচালনার অনুমোদন নিয়েছেন তারা কখনও ওই ক্লিনিকে আসেন না। তাদের নামগুলো শুধু সরকারি কাগজ-কলমে ও প্রচার ব্যানার-পোস্টারে ব্যবহার করা হয়। গত পাঁচ বছরে ওই ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় বহু রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তবে বিভিন্ন মহলকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে সেসব ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছেন ডা. আবদুল গফ্ফার। এছাড়াও একাধিক রোগীর অপারেশকালে পেটের মধ্যে গজ রেখেই সেলাই দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অহরহ।
এ প্রসঙ্গে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দিলিপ কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন অসঙ্গতির কারণে ডক্টরস ক্লিনিকের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভর্তি রোগীদের সরকারি হাসপাতালে স্থান্তরিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
ইউজি/এসআই