ঢাকা, বুধবার, ১ কার্তিক ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রসূতি ও স্বজনদের মারধরের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮
চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রসূতি ও স্বজনদের মারধরের অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রোগী ও স্বজনদের মারধরের অভিযোগ

বাগেরহাট: বাগেরহাট সদর হাসপাতালে রোগী ও রোগীর স্বজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।  

রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গাইনি ওয়ার্ডের দুই প্রসুতি রোগী ও এক রোগীর স্বজনকে মারধর করেন হাসপাতালের কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. আবুল কালাম আজাদ।  

মারধরের শিকার রোগীরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার পঞ্চমালা গ্রামের জাহিদুল বাবুর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮), মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাজীরঘাট গ্রামের আলম শেখের স্ত্রী (রোগী) রজীনা বেগম (২০) ও তার মা নাছিমা বেগম (৪৫)।



নাছিমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, রোববার ভোরে সন্তান প্রসবের জন্য বাড়ি থেকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে আসি। তখন দায়িত্বরত চিকিৎসকরা মেয়েকে ভর্তি নেন। পরে সকাল ১০টার দিকে নিয়মিত রাউন্ড দিতে আসেন চিকিৎসক ডা. আবুল কালাম আজাদ। এ সময় মেয়ের প্রসব বেদনা শুরু হলে ওই চিকিৎসক আমাকে ওয়ার্ড থেকে বের হতে বলেন।  বের হতে দেরি হওয়ায় তিনি আমাকে দু’টি চড় মারেন। আমি চড় খেয়ে ঘুরে পড়ে গেলে ওই চিকিৎসক আমার মেয়েকেও থাপ্পর মারেন।

সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের মা রজীনা বলেন, সন্তান প্রসবের জন্য হাসপাতালে এসে মার খেলাম। এর থেকে কষ্টের আর কি আছে। আমরা ওই চিকিৎসকের বিচার চাই।

অন্য রোগী ফাতেমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, রজীনাকে মারধর করে আমার বেডে আসেন ওই চিকিৎসক। এ সময় তিনি আমাকে বলেন- ‘তোর তো কাল যাওয়ার কথা, তুই যাসনি কেন?’  এই বলেই আমার মাথায় থাপ্পর দেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত চিকিৎস আবুল কালাম আজাদকে বার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. অরুণ চন্দ্র মন্ডল বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার সময় আমি হাসপাতালে ছিলাম। হই হুল্লোড় টের পেয়ে আমি ওয়ার্ড মাস্টারকে গাইনি ওয়ার্ডে পাঠাই। পরে মারধরের শিকার রোগীরা এসে আমার কাছে অভিযোগ দেন। অভিযোগের বিষয়ে উপস্থিত সবার কথা শুনে ঘটনার সত্যতা পাই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।