মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে নিয়ে যাওয়া হয়। কলেজছাত্রী রিনা জেলার বানিয়াচং উপজেলার জিটকা গ্রামের ফজর উদ্দিনের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে মাথা ব্যথায় অচেতন হয়ে পড়লে রিনাকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার অভিভাবকরা। এসময় সেখানে ইন্টার্নি দুই শিক্ষার্থী রোগীর পালস পরীক্ষা করে একে অপরকে রোগী মারা গেছে বলেন। এ কথা শুনে ওই রোগীর পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বাড়িতে খবর পৌঁছলে রিনার ভাই সাজু মিয়া হাসপাতালে এসে বোনের মুখের কাছে হাত নিলে গরম নিঃশ্বাস অনুভব করেন। তখন তিনি ডাক্তারকে গালাগাল দিয়ে চিৎকার শুরু করেন। এসময় খবর পেয়ে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিঠুন রায় রোগীকে পরীক্ষা করে স্যালাইনসহ ওষুধ দেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে রিনা আক্তার আবারও অচেতন হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেটে রেফার করেন। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে সিলেট পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে রোগীর বাবা ফজর উদ্দিন বলেন, ডাক্তারকে না জানিয়ে ট্রেনিং করতে আসা শিক্ষার্থীরা এভাবে ঘোষণা দেওয়া ঠিক হয়নি। এ ঘটনায় তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এ ব্যাপারে আরও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করেন তিনি।
হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিঠুন রায় বাংলানিউজকে বলেন, যারা ইন্টার্নি শিক্ষার্থী তারা অনেক সময় ডাক্তারকে খবর দেওয়ার আগেই নিজেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এখানে এ ধরনেরই কোনো ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
জিপি