চলতি বছরের আগস্টে গবেষণাটি আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সাময়িকী দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী অ্যালকোহল গ্রহণের কারণে মারা যাওয়া ৩০ লাখের মধ্যে ১২ শতাংশই পুরুষ।
গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব মেডিসিনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের গবেষক ড. এমমানুয়েলা গাকিদৌ।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাপ্ত উপাত্ত সাম্প্রতিক অন্য গবেষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেখানে স্পষ্টভাবে দেখা যায়, মদপান ও অকাল মৃত্যুর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে। কোনো মাত্রার অ্যালকোহল গ্রহণ না করা এসব ঝুঁকি কমায়।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ মেট্রিক্স সায়েন্সের অধ্যাপক গাকিদৌ বলেন, গবেষণায় বিয়ার, ওয়াইন ও অন্যান্য পানীয়কে আলাদা করা হয়নি। অ্যালকোহল সম্পর্কিত সব মৃত্যু ও তাদের স্বাস্থ্যজনিত ফলাফল এখানে দেখা হয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়, ২০১৬ সালে বিশ্বব্যাপী ২০০ কোটির বেশি মানুষ মদ গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ৬৩ শতাংশই পুরুষ। অ্যালকোহল গ্রহণের আদর্শ মাত্রাও দেশ ভেদে ভিন্ন। এতে বলা হয়, রেড ওয়াইনের একটি ছোট গ্লাসে ১৩ শতাংশ অ্যালকোহল থাকে, বিয়ারের একটি ক্যানে থাকে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া হুইস্কির একটি শটে থাকে ৪০ শতাংশ।
এতে বলা হয়, অ্যালকোহল গ্রহণে মৃত্যুর হার বেশি এমন শীর্ষ দেশগুলো- রাশিয়া, ইউক্রেন, লিথুয়ানিয়া, বেলারুশ, মঙ্গোলিয়া, লাটভিয়া, কাজাখাস্তান, লেসোথো, বুরনুডি ও কেন্দ্রীয় আফ্রিকা। শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে সাতটি রাষ্ট্র বাল্টিক, ইউরোপের পূর্বাঞ্চল ও মধ্য এশিয়ার।
গাকিদৌ বলেন, অ্যালকোহল গ্রহণে নিরুৎসাহিত করা খুব জরুরি। প্রতিদিন এক ও দু’বার অ্যালকোহল গ্রহণ করা ভালো- এটা একটা মিথ। এ গবেষণা মিথটিকে ভাঙলো।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৮
এএইচ/এএটি