তিনি বলেন, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ সংক্রামক ব্যাধির ক্ষেত্রে আমাদের সফলতা এবং স্বাস্থ্যখাতের অবদানগুলো উল্লেখসহ ভবিষ্যতে এ নিয়ে আমাদের কর্মপরিকল্পনা নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে। আগে আমরা এসব রোগ নিয়ন্ত্রণের কর্মসূচি গ্রহণ করতাম।
বুধবার (৩১ অক্টবর) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘ম্যালেরিয়া নির্মূলে বাংলাদেশ: বাস্তবতা ও প্রতিবন্ধকতা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচি, সমকাল ও ব্র্যাক যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল। তাই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া বা ভারত সবাই উন্নতি করেছে যখন তারা রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল ছিল। আমরাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নির্দেশনায় ও দেশবাসীর ইচ্ছায় টানা ১০ বছর ক্ষমতায় রয়েছি। এ কারণেই বাংলাদেশ এখন প্রতিটি পদক্ষেপে সফলতা লাভ করছে।
তিনি বলেন, শুধু স্বাস্থ্যখাতে গত ৭ দিনে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার অবকাঠামোভিত্তিক প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য খাতের কথা তো বাদই রয়ে গেলো। সেই ফলশ্রুতিতে বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন ইনস্টিটিউট, নিটোরের ১৪ তলা ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের ভার্টিক্যাল এক্সটেনশন, গোপালগঞ্জে ফার্মাসিউটিক্যাল উদ্বোধন উল্লেখযোগ্য।
নির্বাচনের আগেই আরো ৫ হাজার নার্স এবং ৭ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ পাবেন বলে জানান তিনি।
ম্যালেরিয়া নির্মূল বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নিজে ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকাগুলো ঘুরে দেখেছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক পরিশ্রমের মাধ্যমে এ রোগ নির্মূলের পথে হাঁটছি আমরা। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি উভয় প্রতিষ্ঠানের অবদান রয়েছে। তবে জনগণকে সচেতন করতে আমাদের আরও সচেষ্ট হতে হবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপের বিষয়ে এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিঠি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীও সংলাপের জন্য সম্মত হয়েছেন। কারণ আমরা চাই সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফির সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিকেল অফিসার ডা. মিয়া সেপাল, ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজেস ও ওয়াশ কর্মসূচির প্রধান ডা. এম মোক্তাদির কবিরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
বৈঠকে মুক্ত আলোচনায় বক্তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি সুপারিশ উঠে আসে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পার্শ্ববর্তী বা সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয়, বেসরকারি চিকিৎসক, বিভিন্ন স্থানীয় সংগঠন ও সংস্থা এবং পার্বত্য এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় জোরদার, ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকায় আগত ভ্রমণকারী ও পর্যটকদের চিহ্নিত করে গাইডলাইন তৈরির মাধ্যমে ম্যালেরিয়া বিষয়ে সচেতন করা ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
এমএএম/এএ