ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ অসংক্রামক রোগ থেকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ অসংক্রামক রোগ থেকে সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ অসংক্রামক রোগের কারণে হচ্ছে। এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ হচ্ছে ৩০ থেকে ৬৯ বয়সীদের অকাল মৃত্যু। ফলে দেশের সার্বিক উৎপাদনশীলতা ব্যাহত হচ্ছে।

সোমবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে জাতীয় বহুখাতভিত্তিক সমন্বয়’ কমিটির প্রথম সভায় জানানো হয় এসব তথ্য।

সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

 

এসময় ২৯টি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও জাইকার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভাপতিত্বকালে মোহাম্মদ নাসিম অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সেক্টরগুলোর সমন্বিত উদ্যোগের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনাচরণের সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত কায়িক পরিশ্রমের পাশাপাশি জাঙ্ক ফুড গ্রহণে নিরুৎসাহিত করতে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে মানুষকে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অসংক্রামক রোগ বিশ্বে নীরব মহামারি হিসাবে দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম না। অথচ সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নির্মূলে বাংলাদেশের সাফল্য সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমানো, টিকাদানের সাফল্য, কমিউনিটি ক্লিনিকের মতো উদ্ভাবনী মডেল বিশ্ব নেতা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রশংসা অর্জন করেছে।

ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগের ব্যাপকতা দেশে বেড়ে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, এ ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য সামর্থ্যের অতিরিক্ত খরচ করতে হয় জনগণকে। যা দরিদ্রতা বাড়ার অন্যতম কারণ। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করতে হবে।

এজন্য জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিক্ষাঙ্গন থেকে শুরু করে সর্বত্র প্রয়োজনীয় সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর প্রত্যেককে নিজ নিজ ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করার তাগিদ দেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।