শুধু রুবেল নয়, মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা নেয়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশই এ রোগে আক্রান্ত। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাবি এলাকায় মশার উপদ্রব বাড়ায় বেড়েছে ডেঙ্গু জ্বরও।
মেডিকেল সেন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত যথাক্রমে ৯২, ১০৭, ১০৩, ৯৪, ১২৬, ৩৫, ৪০, ১০৫, ৯৭, ৭৪ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন। যার মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জ্বরের চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন।
শিক্ষার্থীদের নাম নিবন্ধন করার দায়িত্বে থাকা সিনিয়র মেডিকেল স্টাফ আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, চিকিৎসার জন্য আসা শিক্ষার্থীদের শতকরা ৯০ ভাগ জ্বরে আক্রান্ত। আবার জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশেরই ডেঙ্গু জ্বর।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মশার কামড়ের কারণে রাতে ঘুমাতে পারছেন না অনেকে। কয়েল, মশারি ব্যবহার করেও মশার কামড় থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। হলগুলোর গণরুমগুলোতে এ সমস্যা আরো প্রকট। দরজা, জানালা সব ঠিক মতো না থাকায় মশা সহজে প্রবেশ করতে পারে। শিক্ষার্থীরা কয়েল দিলেও রাতে আগুনের ঝুঁকি তৈরি হয়।
গণরুমের এক শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড বানিয়ে হলের দেয়ালে টাঙিয়ে দিয়েছেন, ‘স্যার খুব কষ্ট হচ্ছে ঘুমাতে’, আপনার ছেলেরা আজ মশার কাছে পরাজিত। ’ আরেক শিক্ষার্থী নুসাইফা বিভা আলী বলেন, ‘এই অবস্থা চলতে থাকলে ঢাবির হলগুলোর কাউকে ডেঙ্গু হয়ে মরতে হবে না, মশাই আস্ত খেয়ে ফেলবে। ’
সমস্যা সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের টিম রয়েছে। আমরা তাদের অবহিত করেছি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ শুরু করবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এসকেবি/আরএ